অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪ – (Earn Money with Mobile)

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪: বন্ধুরা, আজকাল প্রত্যেকের হাতেই একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। আর এই মোবাইল ফোনকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম সকলেই করতে চাচ্ছেন।

তাই বর্তমানে অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকে যে, আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারি? মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব? আমার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই, তাহলে কি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবো? যদি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব তাহলে কিভাবে কাজ শুরু করবো?

উপরের সব গুলো প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দিতে চলেছি। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় এমনিতে অনেক রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে এমন কতগুলো উপায় রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে অস্থায়ী ভাবে অনলাইন থেকে কিছু পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।

সহজভাবে বলতে গেলে, অনেক বেশি কাজ করার মাধ্যমে অল্প পরিমাণ টাকা আমরা পেয়ে থাকি। আবার কত গুলো online earning ways রয়েছে যেগুলো 100% trusted নয়। অর্থাৎ কাজ করার পর আমাদের টাকা নাও দিতে পারে।

তবে সেগুলোর বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমি একদমই আলোচনা করবো না। যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনারা স্থায়ীভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং যেগুলো ১০০% ট্রাস্টেড, এসবের বিষয়ে নিচে আমি বিস্তারিত ভাবে আপনাদের বলে দিবো।

আপনি যদি অনলাইনে part-time অথবা full time কাজ করে টাকা ইনকান করতে চান, তাহলে আপনার android mobile দিয়ে আপনি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি হয়ত ভাবছেন, এটা কি আসলেই সম্ভব। জ্বি, আপনি সত্যি শুনেছেন। আজকাল Information and Communication Technology এর উন্নতির ফলে মানুষ হাতের এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারছে।

এক্ষেত্রে আপনার যদি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ না থাকে, তবুও আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। তবে যেহেতু সকল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, তাই আপনার মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন অবশ্যই থাকতে হবে।

আর সেই সাথে আপনার একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে, কষ্ট বা পরিশ্রম না করে কেবল বসে থেকে আজকাল কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।

তাই মোবাইলে অনলাইনে আয় করার উপায় গুলোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে একটু কষ্ট বা পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে এবং সফলতার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ধৈর্য্য থাকতে হবে।

আর নিচে আমি এমন ৫টি উপায় গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে চলেছি, এগুলোর মাধ্যমে আপনি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন এবং এগুলো পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য বা real online earning method হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

এসব উপায়ে আপনি স্থায়ীভাবে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন, অর্থাৎ একবার ইনকাম শুরু হলে এটা চলতেই থাকবে এবং যত দিন যাবে তত ইনকামেই পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকবে।

এই online income পদ্ধতিগুলোর দ্বারা আপনি কতটা বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন অথবা ইনকাম করতে পারবেন কিনা সেটি নির্ভর করে আপনার পরিশ্রম এবং ধৈর্যের উপর।

এর পাশাপাশি কাজের কিছু দক্ষতারও প্রয়োজন রয়েছে যেগুলো নিচে আমি আপনাদের বলে দিবো।

তাহলে চলুন জেনে নিই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি কি?

আর্টিকেল সূচি: show

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে – সেরা ৫টি উপায় (১০০% ট্রাস্টেড)

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
Best Ways to Earn Money Online with Mobile Phone.

যদি আপনার হাতে একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন রয়েছে, তাহলে আপনি এটি দিয়ে অনলাইনে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

এরকম মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার জনপ্রিয় এবং সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।

১) ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়

ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে নিচে সম্পূর্ণটা আমি আপনাদের বলে দিব। তার আগে বলে নিই যে, মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করা যাবে কিনা?

জ্বি, অবশ্যই মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং করা সম্ভব। আমি নিজেও মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং করেছি এবং আর্টিকেল লিখেছি, তাই আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে আমি এ বিষয়ে আপনাদের বলতে চলেছি।

ব্লগিং মানে কি?

ব্লগিং হলো এমন একটি online earning platform, যেখানে অনেক মানুষ এটাকে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং চাকরি করার পাশাপাশি ব্লগিং এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছেন।

এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা চাকরি অথবা ব্যবসা কোনটাই না করে ফুল টাইম ব্লগিং করছেন অর্থাৎ ব্লগিংকে তারা নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে নিয়েছেন।

আর ব্লগিং করার আগে কিছু বিষয়ে আপনার অভজ্ঞতা অবশ্যই থাকতে হবে এবং কত গুলো কাজের ক্ষেত্রে আপনার ভালো দক্ষতার প্রয়োজন হবে।

মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে ব্লগিং কেবল একটি অনলাইন ইনকাম করার উপায়ই নয়, এটি আজকাল একটি স্মার্ট ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এজন্য আপনি কেন ব্লগিং করবেন, কি কি বিষয়ে ব্লগ তৈরি করবেন এসব বিষয়ে আপনাকে আগে ভালো করে জেনে নিতে হবে।

ব্লগিং শুরু করা আগে যেসকল বিষয়ে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত জরুরি সেগুলো আমি নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করেছি-

  • ব্লগ মানে কি বা ব্লগ কাকে বলে?
  • ব্লগিং কি বা ব্লগিং কাকে বলে?
  • একটি ব্লগ সাইট বানাতে কি কি লাগে?
  • কিভাবে সঠিকভাবে ব্লগিং এর জন্য একটি ব্লগ সাইট বানাতে হয়?
  • কোন নিস বা বিষয়ের উপর আপনি ব্লগিং করতে চান সেটি বাছাই করা।
  • আপনার সিলেক্ট করা নিসের সাথে জড়িত বিষয় গুলো নিয়ে ব্লগে নিয়মিত নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করা।

ব্লগ কাকে বলে বা ব্লগ মানে কি?

যদি সহজভাবে বলতে হয় তাহলে ব্লগ হলো অনলাইনে একটি লেখালেখি করার জায়গা।

যখন আপনার একটি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকবে, তখন আপনি সেখানে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

সাধারণত একটি ওয়েবসাইট যখন লিখালিখি করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয় তখন সেটাকে ব্লগ বলা হয়। তাহলে একটি ওয়েবসাইটকে ব্লগ বলা যেতে পারে।

উদাহরণ স্বরুপ, আপনি এখন আমার ওয়েবসাইটে এসে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ছেন। এটি হলো আমার একটি ব্লগ কনটেন্ট। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে পাবলিশ করা প্রতিটি লিখা বা আর্টিকেলকে এক একটি ব্লগ কনটেন্ট বলা হয়ে থাকে।

ব্লগিং করার জন্য জনপ্রিয় এবং সেরা দুইটি অনলাইন ব্লগিং প্লাটফর্ম হলো ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার।

ব্লগার মানে কি বা ব্লগার কাদের বলা হয়?

উপরে আমি আলোচনা করেছি ব্লগ কি? তো এ বিষয়ে আপনারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন। ব্লগার তাদেরকেই বলা হয়, যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে থাকেন।

একদম সহজভাবে বলতে গেলে, যে বা যারা অনলাইনে লেখালেখি করে থাকেন অথবা আর্টিকেল পাবলিশ করেন তাদেরকেই ব্লগার বলা হয়ে থাকে।

তেমনিভাবে আপনি যদি একটি অনলাইন ব্লগ তৈরি করেন এবং সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকেন তাহলে আপনিও একজন ব্লগার হিসেবে অভিহিত হবেন।

ব্লগিং মানে কি বা কিভাবে ব্লগিং করতে হয়?

আপনি এতক্ষনে হয়ত জেনে গেছেন ব্লগিং এর বিষয়ে।

আমরা জানি, ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইটে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করার কাজকে ব্লগিং বলা হয় আর যে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে তাকে ব্লগ বলে।

যদি সহজভাবে বলা হয়, তাহলে আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে সেখানে নির্দিষ্ট কোন বিষয় বা টপিকের উপরে রেগুলার লিখালিখি করেন বা আর্টিকেল পাবলিশ করেন তাহলে সেটাকে বলা হবে ব্লগিং।

আর এর মাধ্যমে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে করবেন এ বিষয়ে একটু পরেই আমি আলোচনা করব, আগে ব্লগিং এর সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিন তাহলে অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা আয় করার পুরো প্রক্রিয়াটা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

তাহলে ব্লগিং মানে কি বা ব্লগিং কাকে বলে এ বিষয়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ব্লগিং কিভাবে করে?

বন্ধুরা ব্লগিং কিভাবে করে এ বিষয়ে এখন আমি আপনাদের পরিষ্কার ধারণা দিয়ে দিব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

প্রথমেই বলে রাখি, ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে আগে আমাদের দরকার হবে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর। এই ওয়েবসাইট বা ব্লগ যেকোন প্লাটফর্মে তৈরি করা যেতে পারে। হতে পারে সেটা ওয়ার্ডপ্রেস অথবা হতে পারে ব্লগার।

আসলে এখানে ব্লগিং ওর প্লাটফর্ম টা বড় কোন বিষয় নয়, আমরা সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারব কিনা সেটা হচ্ছে বড় বিষয়।

কিভাবে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হয় এ বিষয়ে আমি একটু পরে বিস্তারিত আলোচনা করব। তার আগে কিভাবে ব্লগিং করতে হয় এ বিষয়ে চলুন আরো ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।

মনে করুন, আমি একটি নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করেছি। এখন আমার উদ্দেশ্য হলো ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করবো।

এজন্য প্রথমেই আমার কাজ হবে একটি ব্লগ তৈরি করা। তো আমি একটি ব্লগ তৈরি করলাম ধরে নিন। এবং আমি আমার ব্লগের একটি নিশ বা বিষয়ে সিলেক্ট করলাম যে বিষয়ের উপরে আমার ব্লগে লেখালেখি করবো।

উদাহরণ হিসেবে, আমি health টপিকে বাছাই করলাম। অর্থাৎ আমার ব্লগে আমি যে আর্টিকেল গুলো লিখব এগুলো সবই মানুষের শরীর ওবং স্বাস্থ্য বিষয়ক টপিকের উপরে লিখব।

এরপর আমি আর্টিকেল লিখা শুরু করে দিলাম। ধরুন আমার ব্লগে ১০০ টি ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে গেল। এখন গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আমার ব্লগে প্রতিদিন কিছু পরিমানে ট্রাফিক বা ভিজিটরস আসা শুরু করবে।

কারণ আমার ব্লগে লিখা আর্টিকেল গুলো যদি ভালো মানের হয়ে থাকে এবং সেই টপিক নিয়ে যদি গুগলে কেউ সার্চ করে থাকে, তাহলে গুগল অবশ্যই আপনার ব্লগকে তার সামনে দেখাবে এবং সে আমার আর্টিকেল পড়ার জন্য গুগল সার্চের মাধ্যমে আমার ব্লগে চলে আসবে।

এরকমভাবে যখন প্রতিদিন ভালো পরিমাণে ভিজিটরস আমার ব্লগে চলে আসবে তখন আমি সেই ব্লগ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারব।

তাহলে বুঝলেন তো কিভাবে ব্লগিং করতে হয়।

এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায়: অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনার একটি নিজস্ব ব্লগ থাকতে হবে এ বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি। যদি আপনার কাছে কোন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে আপনি মোবাইল ফোন দিয়েও এসব কাজ করতে পারবেন এ বিষয়েও আমি উপরে আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি।

যেহেতু আজকের আর্টিকেলের বিষয় হলো অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার উপায়, তাই এখানে যে উপায় গুলোর বিষয়ে আমি বলবো এগুলোর সবই মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব এবং অনেকেই করছেন।

তো যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ব্লগ টপিক নির্বাচন করতে হবে। আপনি যেসকল বিষয়ে ভালো পারেন অথবা যে বিষয়ের উপরে আপনি ভালো জানেনে এবং ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়ের উপরে আপনি লিখালিখি করতে পারেন।

অর্থাৎ আপনাকে এমন কোন বিষয় সিলেক্ট করতে হবে যেটার উপর আপনি প্রতিনিয়ত আপনার ব্লগে নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন।

ব্লগের টপিক সিলেক্ট করার পর সেই টপিক অনযায়ী আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে। যেটাকে ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম বা ওয়েবসাইটের এড্রেস বলা হয়। তো কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় এ বিষয়ে আমি পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এখন ধরে নিন, আপনার টপিক নির্বাচন করা হয়ে গেল এবং সেই টপিকের অনুসারে নাম নিয়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট ready করে ফেললেন। এখন আপনার কাজ হলো আপনার ব্লগে নতুন নতুন ভালো মানের কনটেন্ট পাবলিশ করা।

মনে রাখবেন, একটু ব্লগ থেকে আয় করার জন্য আবশ্যই দরকার high quality কনটেন্ট এর। কেননা উন্নত মানের কনটেন্ট ছাড়া বর্তমানে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন বা অন্য জায়গা থেকে ভালো ট্রাফিক বা ভিজিটরস পাওয়া যায় না। আর একটি ব্লগে যদি ভালো পরিমাণ ভিজিটরস প্রতিদিন না থাকে তাহলে সেই ব্লগ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নয়।

অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো traffic বা visitors. যদি আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক প্রতিদিন আসতে থাকে তাহলে আপনি ব্লগে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

শুধু বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় ছাড়াও, আরো অন্যান্য উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন আপনার ব্লগ থেকে। তবে এক্ষেত্রে মূল কথা হলো একটাই যে, ব্লগে প্রতিদিন সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ট্রাফিক অথবা ভিজিটরস আসতে হবে।

আর প্রচুর ট্রাফিক পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি করা।

মনে রাখবেন, যখন আপনি ব্লগিং করবেন তখন আপনার কম্পিটিটর (competitor) থাকবে। অর্থাৎ আপনি যেই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন সেই বিষয়ে আরও অনেকেই লেখালেখি করে থাকেন।

এখন ধরুন আপনি একটা কনটেন্ট তৈরি করলেন, “চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়” সম্পর্কে। এখন যে আপনার মতো টপিকের উপরে ব্লগিং করে থাকে সেও একই বিষয় নিয়ে একটি কনটেন্ট তৈরি করলো।

এরপর লোকেরা গুগলে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় লিখে সার্চ করলে যে ব্লগ গুলোকে গুগল তার সার্চ ফলাফলের প্রথমের দিকে দেখাবে সেই ব্লগ গুলো বেশি পরিমাণে ভিজিটর পাবে।

তাহলে ধরুন, একই বিষয় নিয়ে ১০ জন ব্লগার কনটেন্ট তৈরি করেছেন, এখন সেই বিষয় নিয়ে লোকজন গুগলে সার্চ করলে কার কনটেন্ট গুগল তার সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে দেখাবে সেটা নির্ভর করে কনটেন্ট কোয়ালিটির উপর।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে সব গুলো আর্টিকেলের মধ্যে যেটি তথ্যবহুল আর্টিকেল এবং যার কোয়ালিটি ভালো রয়েছে সেটাকেই গুগল প্রথমের দিকে দেখাবে এবং সেই কনটেন্টের মাধ্যমে ভালো ভিজিটরস পাওয়া যাবে।

তাহলে বুঝলেন তো, ভালো ট্রাফিক পেতে হলে ভালো কনটেন্টের গুরুত্ব কত বেশি।

এখন আমরা জানবো কোন কোন উপায়ে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়।

বন্ধুরা, এমনিতে ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্য সহজ মাধ্যম হিসেবে সকলেই গুগল এডসেন্সকে বেছে নিয়ে থাকে।

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

গুগল এডসেন্স মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অধিক জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম।

তবে একটি ব্লগ থেকে যে কেবল গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় তা কিন্তু নয় আরো অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা যায় যদি সাইটে ভালো পরিমাণে ভিজিটরস থাকে।

যেমন: এফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ, স্পন্সরশীপ ইত্যাদি।

এখন চলুন জেনে নিই এসব মাধমে কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা যায়।

ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয়

যখন আপনার ব্লগে ৩০ থেকে ৫০ টি ভালো ভালো কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়ে যাবে এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে কিছু পরিমাণ ট্রাফিক আসতে শুরু করবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর দ্বারা আপনার ব্লগকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য apply করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্স একাউন্টের সাথে কানেক্ট করতে হবে।

যখন গুগল এডসেন্স এর জন্য apply হয়ে যাবে, এর কয়েকদিনের মধ্যে গুগল আপনার সাইটকে রিভিউ করে দেখবে, যদি আপনার সাইটের সব কিছু ঠিকঠাক থাকে এবং কনটেন্ট ভালো মানের হয় তাহলে আপনি সহজেই গুগল এডসেন্স ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

গুগল আপনার ব্লগে এডসেন্স approval দেওয়ার পর আপনার ব্লগের আর্টিকেল গুলোতে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।

এরপর যখন লোকেরা সেই সব বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করবে এর বিনিময়ে কিছু পরিমাণে টাকা আপনার এডসেন্স একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

তবে প্রথমের দিকে আপনার ইনকামের পরিমাণ খুব কম থাকবে। কারণ ওয়েবসাইটে প্রথম গুগল এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়ার পর প্রতিদিন ট্রাফিকের পরিমাণ খুব কম থাকে তাই বিজ্ঞাপনে ক্লিকের পরিমান খুব কম থাকবে।

ধীরে ধীরে যখন আপনার লিখা আর্টিকেল গুলো গুগল সার্চে র‍্যাংক করত্র থাকবে তখন আপনার ব্লগে দিন দিন ভিজিটরের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

আর প্রতিদিন যত বেশি ভিজিটর আপনার ব্লগে আসবে তত বেশি পরিমাণে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়বে এবং সে অনুযায়ী টাকা আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

এভাবে যখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার জমা হয়ে যাবে তখন গুগল আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠিয়ে দিবে এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য।

আপনি আপনার পোষ্ট অফিসে সেই চিঠি পেয়ে যাবেন। সেখানে একটি পিন কোড দেওয়া থাকবে যেটির মাধ্যমে আপনার এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন।

এরপর আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে গেলে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার অপশন পেয়ে যাবেন। যদি আপনি ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে নেন, তাহলে যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হয়ে যাবে, তখন গুগল আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দিবে।

এভাবে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়।

Note: বন্ধুরা, বাংলাদেশে ওয়েবসাইট থেকে টাকা করার জন্য গুগল এডসেন্স খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। প্রায় সকল বাংলা ব্লগই অর্থ উপার্জন করার জন্য গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে থাকেন। তাই আপনি এর মাধ্যমে অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং সব কাজ আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

ব্লগে গুগল এডসেন্সের মতো এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়। এটাকে কমিশন ইনকাম বলা যেতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এরকম যে, এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রার করতে হয়। এরপর সেখান থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক নিতে হয়।

তারপর সেই এফিলিয়েট লিংক আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মধ্যে বসানো হয়। যখন কোন ভিজিটর সেই লিংকের উপরে ক্লিক করে প্রোডাক্টটি কিনে তখন আপনি সেই প্রোডাক্টের মূল্য অনুযায়ী কিছু টাকা Commission income করতে পারবেন। এরপর সেই টাকা আপনি নির্দিষ্ট পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, উপরে আমি ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করার উপায়ের বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত বলে দিয়েছি।

এখন আমি দ্বিতীয় জনপ্রিয় উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করতে করতে চলেছি। সবকিছু ভালোভাবে জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ অবদি পড়তে থাকুন।

২) মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে আয়

বন্ধুরা, বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক উপায় হলো ইউটিউব।

বর্তমানে দেশে এবং বিদেশে হাজার হাজার ইউটিউবার রয়েছেন, যারা প্রফেশনালভাবে Youtubing করছেন এবং তাদের আলাদাভাবে কোন ধরনের চাকরি বা ব্যবসা করার প্রয়োজন হচ্ছেনা।

বড় বড় ইউটিউবাররা তাদের Youtube channel কে নিজের business হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং তার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।

এমন অনেক ইউটিউবার রয়েছেন, যারা প্রতি মাসে কেবল ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

তো তারা তাদের কাজ এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্যই আজকে এরকম ইনকাম পাচ্ছেন।

এখন আমি আলোচনা করবো ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।

যদি আপনি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার সহজ উপায় খুজছেন তাহলে ব্লগিং এর পাশাপাশি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায় এ বিষয়ে জেনে রাখাটা আপনার জন্য অধিক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

তাহলে বন্ধুরা, কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় এই সম্পূর্ণ টপিকটি আমি কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে নিচে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করবো। তাই নিচের প্রত্যকটি পয়েন্ট মনযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন আশা করি।

যেমন,

  • ইউটিউব থেকে আয় করার নিয়ম
  • ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায় এবং
  • ইউটিউব থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি কি?

এসব বিষয়ে নিচে আমি এক এক করে আপনাদের বলে দিব। তাই যদি আপনি বিষয় গুলো ভালোভাবে পড়েন তাহলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সহজে বুঝে যেতে পারবেন।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়?

YouTube থেকে টাকা আয় করার কেবল একটি উপায় রয়েছে, আর সেটা হলো, নিজের একটি YouTube Channel তৈরি করা এবং চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা।

হ্যা, এটা সত্যি শুনেছেন।

নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে video upload করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার এটা শুনে মনে হতে পারে যে, ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা অনেক সহজ কাজ।

জ্বি, কাজের প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ, কিন্তু নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রথম থেকে শুরু করে চ্যানেলকে টাকা ইনকামের জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যেতে অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য থাকতে হয়।

আর একবার একটি ইউটিউব চ্যানেল বড় হয়ে গেলে সেখান থেকে সহজেই মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

তবে আপনি এখন বলতে পারেন যে, আমার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই, তাহলে আমি কি ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করতে পারব। অথবা আমার ক্যামেরা নেই তাহলে আমি কি ইউটিউব ভিডিও বানাতে পারবো।

হ্যা, অবশ্যই আপনি পারবেন। যেহেতু আমার আর্টিকেলের বিষয় হলো মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে তাই মোবাইল দিয়ে করা যাবে না এরকম কোন উপায়ের বিষয়ে আমি এখানে কথা বলতে যাচ্ছিনা।

যেহেতু ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার একমাত্র কাজ চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা, তাই আপনার যদি একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আপনি মোবাইল দিয়েই ভিডিও বানাতে পারবেন এবং সেই সাথে video editing এর কাজও করতে পারবেন।

আমরা সকলে জানি যে, ইউটিউব হলো এমন একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম যেখানে সব ধরনের ভিডিও available রয়েছে। অর্থাৎ আমরা যেকোন ভিডিওই দেখতে চাই না কেন, ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করলেই আমরা ভিডিও পেয়ে যায় এবং দেখে নিতে পারি।

আমরা বিনোদনের জন্য নানা রকমের ফানি ভিডিও বা মজার ভিডিও ইউটিউবে দেখে থাকি। তাছাড়া কোন কিছু শিখতে চাইলে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে আমরা শিখিতে পারি। এমনকি ইউটিউবে এখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ক্লাস বিষয়ক ভিডিও আমরা ফ্রিতেই পেতে পারি।

এখন কথা হচ্ছে, আমরা যে ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও দেখতে পাই, এই ভিডিও গুলো কারা ইউটিউবে আপলোড করেন এবং কেন তারা কষ্ট করে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে যাবেন।

এর উত্তর হলো, এসব ভিডিও আপনার এবং আমার মতো লোকেরা ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলে তাতে আপলোড করে যাচ্ছেন।

এবং তারা কষ্ট করে এবং তাদের সময় নষ্ট করে এমনি এমনি এসব ভিডিও ইউটিউব প্লাটফর্মে upload করেন না। তারা তাদের আপলোয়াদ করা ভিডিওর ভিউস অনুযায়ী টাকা ইনকাম করে থাকেন।

আপনি এটা অবশ্যই দেখেছেন যে, আমরা যখন ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখি তখন ভিডিওর শুরুতে আমাদের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাকে। তাছাড়া ভিডিও চলাকালেও এর মাঝে কতগুলো বিজ্ঞাপন দর্শকদের দেখানো হয়ে থাকে৷ এসব বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলের মালিক টাকা ইনকাম করে থাকেন।

ইউটিউবে monetization নামে আলাদা একটি feature রয়েছে। যখন একটি চ্যানেলে এই মনিটাইজেশন ফিচারটি চালু করা হয় তখন গুগল এডসেন্স এর তরফ থেকে সেই চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে কিছু বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখানো হয়ে থাকে।

ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করার সময়ই Google AdSense একাউন্ট খুলে নিতে হয়।

আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো যত বেশি ভিউস হবে এবং যত বেশি পরিমাণে লোকেরা ভিডিওর বিজ্ঞাপন গুলো দেখবে সেই হিসেবে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে।

এরপর যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার হয়ে গেলে ঠিকানা ভেরিভাই করার জন্য গুগল আপনাকে চিঠি পাঠাবে, যেমনটা আমি আপনাদের আগেই বলেছি।

এরপর ১০০ ডলার হয়ে গেলে টাকা আপনি bank account এর মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

একটি বড় ইউটিউব চ্যানেল কেবল গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করেননা, তারা বিভিন্ন স্পন্সরশীপ এবং পেইড রিভিউ এর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে থাকেন।

Youtube থেকে টাকা আয় করার পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ

একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন:

প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব একাউন্ট create করতে হবে বা একটি Youtube Channel Create করে নিতে হবে।

দেখুন, কিভাবে সঠিক নিয়মে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?

চ্যানেল বানানো হয়ে গেলে সুন্দর একটি চ্যানেল প্রোফাইল আইকন এবং একটি কভার ফটো লাগিয়ে নিন। এরপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করে নিন।

নিজের Youtube channel এ ভিডিও আপলোড করুন:

আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কিন্তু একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর বসে থাকলে চলবে না। এখানে আপনাকে কষ্ট করে কাজ করতে হবে।

একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো চ্যানেলে ভালো মানের ভিডিও আপলোড করা।

যেহেতু ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়া হলো ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়, তাই এক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিওর দিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

মনে রাখবেন, ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে অন্যের বানানো ভিডিও চ্যানেলে কখোনোই আপলোড করা যাবেনা। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের উলটো ক্ষতি হতে পারে। আর বর্তমান সময়ে যেকোন কাজে কপিরাইটের মাধ্যমে সফলতা পাওয়া যায় না।

তাই অন্যের ভিডিও আপলোড করার চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে সম্পুর্ণ নিজের বানানো ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করার চেষ্টা করবেন যেগুলো মানুষের কাজে আসবে।

আপনার ভিডিও এমন ইন্টারেস্টিং হতে হবে যেন ভিডিওর মধ্যে কিছু creativity থাকে এবং লোকজন তা দেখতে পছন্দ করে।

আপনি যদি এমন ভিডিও বানাতে পারেন যা লোকদের পছন্দ হয়ে থাকে, এবং তারা আপনার ভিডিও গুলো দেখে আনন্দ পান এবং নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে খুব কম সময়ে প্রচুর পরিমাণে views এবং subscriber হয়ে যাবে।

এখন কথা হলো ইউটিউব চ্যানলে কোন ধরনের ভিডিও আপনি আপলোড করবেন।

আমি আপনাদের আগেই বলেছি, আপনাকে এমন টপিকের উপর ভিডিও বানাতে হবে, যে টপিকের উপরে মানুষের ভালো ইন্টারেস্ট র‍য়েছে এবং যে ভিডিও গুলো দেখে মানুষ আনন্দ পান এবং নতুন নতুন তথ্য জানতে ও শিখতে পারেন।

যখন আপনি একটি চ্যানেল খুলবেন, তখন প্রথমেই আপনাকে চ্যানলের একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ের উপরে আপনি চ্যানলের সব ভিডিও আপলোড করবেন।

যেমন, technology video, mobile phoner review video, tutorial video, food video, online earning tips video, news video, funny video, educational video ইত্যাদি।

এর অর্থ হলো, যেকোন একটি বিষয়ের উপরে আপনার চ্যানেলের সকল ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনি যদি একটি ফানি ভিডিও আপলোড করেন এবং আরেকটি যদি টিউটোরিয়াল বিষয়ক ভিডিও দেন তাহলে কিন্তু কাজ হবেনা।

এমনিতে অনেক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টপিক রয়েছে, যেগুলো বর্তমানে সকলেই পছন্দ করে থাকেন। এসব বিষয়ে আপনি চ্যানলে তৈরি করতে পারেন।

এখন চলে আসি ইউটিউব মনিটাইজেশন এর বিষয়ে।

কিভাবে YouTube Channel Monetization এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়

বন্ধুরা, আমি আপনাদের আগেই বলেছি মনিটাইজেশন হলো ইউটিউবের এমন একটি ফিচার যেটা চালু করলে চ্যানেলের ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাকে। দর্শকরা সে সকল বিজ্ঞাপন দেখলে গুগল এডসেন্স একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকে।

এখন কথা হলো, আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নিজের ইচ্ছামত কয়েকটি ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন না।

এর জন্য ইউটিউবের তরফ থেকে কিছু শর্তাবলী দেওয়া রয়েছে। যখন এসব শর্ত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের দ্বারা পূরণ হবে কেবল তখনই আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যনেল মনিটাইজেশন এর শর্তগুলো হলো-

  • আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং
  • গত ১ বছরে চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

এই শর্ত দুটি আপনার চ্যানেলের দ্বারা পূরণ হওয়ার পর আপনি Youtube channel monetization এর জন্য apply করতে পারবেন।

এরপর ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়ে দিলে আপনার ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এর তরফ থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়ে যাবে এবং আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারবেন।

৩) মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রি করে ইনকাম

আজকাল স্মার্টফোন গুলোতে অনেক ভালো ভালো ক্যামেরা ফিচারস দেওয়া থাকে। ফলে ক্যামেরা ছাড়াই একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে প্রফেসনাল মানের ছবি তোলা সম্ভব।

আর বর্তমানে প্রায় সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলতে অধিক পছন্দ করে থাকেন।

অনেকেই নিজের শখের বশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক সুন্দর ফটো তুলে থাকেন।

আপনি যদি এরকম একজন মোবাইল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন, তবে আপনি যদি অল্প একটি পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে আপনার ছবি তোলার শখকে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে পরিণত করতে পারবেন।

আপনার মনে এই প্রশ্নটি অবশ্যই এসেছে যে, মোবাইলের মাধ্যমে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমি কোথায় বিক্রি করবো এবং এগুলো কে কিনবে?

তাহলে এর উত্তর হলো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে সুন্দর সুন্দর মোবাইল ফটোগ্রাফ গুলো বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এসকল সাইট stock images website হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।

এখন চলুন জেনে নিই, স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলো কেন লোকদের কাছ থেকে ফটোগ্রাফ গুলো কিনে নেয়।

মনে করুন, আপনি একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে যাচ্ছেন। আপনার ওয়েবসাইটটিকে সাজাতে ভালো ভালো কিছু ছবির প্রয়োজন। এখন ধরুন আপনি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ততটা এক্সপার্ট নন, আর এমতাবস্থায় একজন ফটোগ্রাফার ভাড়া করে দরকারি ছবি তুলতে গেলে অনেক এক্সট্রা খরচ এবং সময়ের দরকার।

তাই আপনি এত সমস্যার মধ্যে না গিয়ে কোন একটা ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট থেকে নিজের প্রয়োজনীয় ছবি গুলো টাকা দিয়ে কিনে ফেলতে পারেন।

এভাবেই মূলত ইমেজ ওয়েবসাইট গুলো ছবি বিক্রি করে থাকে।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার জন্য মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রি করাটা কিন্তু স্মার্ট একটি অনলাইন ইনকাম করার উপায়।

মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রি করে অনলাইন টাকা ইনকাম করার জন্য যে ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে, সেগুলো হলো

  • Snapwire
  • Dreamstime
  • Foap
  • Sutterstock
  • Agora Images
  • Clashot
  • EyeEm

উপরে যে ওয়েবসাইট গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এগুলোতে আপনি mobile photograph বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে সেই সাইটগুলোর কিছু শর্ত বা নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে।

৪) অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় – অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে অধিক পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে লেখালেখি করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে ইন্টারনেটে এরকম অনেক ব্লগ এবং নিউজ পোর্টাল অথবা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ রয়েছে যেগুলোতে কনটেন্ট পাবলিশ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার এর প্রয়োজন এববগ তারা রাইটার এর খোজে রয়েছেন।

আপনি যদি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রাখেন তাহলে মোবাইল দিয়ে লেখালেখি করার কাজটি আপনি অনেক সহজে করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি যদি কোন ব্লগে কনটেন্ট লিখার মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এরকম ব্লগ আপনি খুজে পেতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে।

ফেসবুকে ব্লগিং রিলেটেড অনেক গ্রুপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ অফার করতে পারেন এবং আপনাকে সেখান থেকে অনকে হায়ার করে নেবে।

এছাড়া আপনি যেকোন ব্লগের contact page এর মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং বলতে পারেন তাদের ব্লগের জন্য কোন রাইটার এর প্রয়োজন আছে কিনা।

আপনি যদি উন্নত মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে প্রত্যেকটি ১৫০০ থেকে ২০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখার বিনিময়ে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

৫) মোবাইল দিয়ে Fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করে ইনকাম

বন্ধুরা, আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে অবশ্যই শুনেছেন। ফাইভারে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

এই সাইটে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, যেগুলো করে ফ্রিল্যান্সাররা টাকা ইনকাম করে থাকেন। যেমন, web design, web development, graphics design, search engine optimisation, socail media management, content writing, logo desin ইত্যাদি।

এগুলোর মধ্যে অনেক কাজ মোবাইল দিয়ে করা তেমন সম্ভব না। তবে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে অনায়াসেই করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যে কাজই আপনি করতে চান না কেন, সে বিষয়ে আগে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

Fiverr এ কাজ করার জন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে account তৈরি করতে হবে। এরপর আপনাকে কাজ খুজতে হবে।

আপনি ফাইভারে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অন্যান্য উপায়গুলো:

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে কিভাবে online taka income করবেন, সে বিষয়ে আমাদের ব্লগের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে: FAQs

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব?

হ্যাঁ অবশ্যই। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য যে কাজগুলো রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। যেমন: ব্লগিং, কনটেন্ট রাইটিং, ইউটিউব, ফটোগ্রাফি এই কাজগুলো সম্পূর্ণ মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে ইনকামের সেরা সাইট কোনটি?

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সাইট খুঁজছেন, তাহলে YouTube, Fiverr, Neobux, Blogger ইত্যাদি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ এবং ১০০% আসল উপায় কি?

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে online income করার একদম সহজ এবং নিশ্চিত উপায় হলো Blogging এবং YouTube Channel. তবে, এই দুইটির মধ্যে ব্লগিং থেকে দ্রুত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্লগিং এর বিষয়ে ভালো জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আমার শেষ কথা,,

বন্ধুরা, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় এবং সেরা কিছু উপায় আমি আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

উপরে আমি যে উপায় গুলোর বিষয়ে আপনাদের বলেছি সেগুলো ১০০% কার্যকরী এবং এগুলো একদম ট্রাস্টেড।

এই ৫টি উপায়ের মধ্যে প্রথমের যে দুইটি আমি আপনাদের বলেছি, ব্লগিং এবং ইউটিউব। ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য এই দুইটি অনলাইন ইনকাম মেথড সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

আর এই দুইটির যেকোন একটি যদি আপনি একবার সফলভাবে দ্বার করাতে পারেন তাহলে এটাকে আপনি বিজনেস হিসেবে চালিয়ে প্রতি মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

আর এগুলো আপনি মোবাইল ফোন দিয়েই শুরু করতে পারবেন।

এই দুইটি উপায় এতটাই বিশ্বস্ত যে, একবার ইনকাম শুরু হলে যত দিন যাবে তত আপনার ইনকামের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার জন্য বর্তমানে অনেক অনলাইন ইনকাম এপস আপনি পেয়ে যাবেন। যেগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টাকা ইনকাম করে থাকেন।

এন্ড্রয়েড এপসের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় ঠিকই, কিন্তু এর কোন নিশ্চিত গ্যারান্টি নেই যে সেখান থেকে আয়ের টাকা আপনি তুলতে পারবেন কিনা।

তাছাড়া এগুলো কিছুদিন ভালোভাবে চালু থাকে কিন্তু কিছুদিন পর এগুলো আর থাকে না।

আর এই এপস গুলো অনেক বেশি কাজ করে নিয়ে খুব অল্প পরিমাণ টাকা প্রদাণ করে থাকে।

এর চেয়ে বরং যদি আপনি ব্লগিং কিংবা ইউটিউব অথবা আর্টিকেল লিখার কাজ শিখেন তাহলে আপনি স্থায়ীভাবে অনলাইনে ইনকামের একটি পথ করে নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর বিষয়ে এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *