Home » অনলাইন ইনকাম » অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো ২০২৪: সেরা ১৫টি সাইট

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো ২০২৪: সেরা ১৫টি সাইট

বর্তমানে সকলেই ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে অধিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই কারণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রচুর পরিমাণে লোকেরা ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

ইন্টারনেটে এরকম প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো আমদের বাড়িতে বসে কাজ করে ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এরকম ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলো।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে লোকেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের রিয়েল কাজগুলো করে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এ বিষয়ে জেনে রাখটা আপনার জন্য অধিক লাভজনক হতে পারে।

Freelancing website গুলো ছাড়াও আরো কিছু সেরা অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে আলোচনা করবো যেগুলোতে আপনারা বিভিন্ন ছোটো ছোটো কাজগুলো করে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমন ক্যাপচা টাইপিং জব, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা, রেফার করা, ভিডিও দেখা, বিজ্ঞাপন দেখা ইত্যাদি।

অনলাইনে টাকা উপার্জন করার ওয়েবসাইট গুলো কিভাবে কাজ করে?

অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার বর্তমানে প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কাজ রয়েছে, যেগুলো লোকেরা তাদের কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন দিয়ে করে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

আবার এক একটি ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য এবং কাজের ধরন এক এক ধরনের হয়ে থাকে। প্রতিটি ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন এবং শর্ত (terms & conditions) থাকে।

কোনো একটি ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য প্রথমে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে কাজ শুরু করতে হয়। এরপর কাজ সম্পন্ন করার পর পেমেন্টের জন্য সাধারণত PayPal, bank transfer বা অন্যান্য payment method ব্যবহার করা হয়।

তাহলে চলুন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে জানার আগে এই সাইটগুলোর ধরন বা প্রকারের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

১. ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট:

Freelancer, Upwork, Fiverr ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি একজন ফ্রিলান্সার হিসেবে একাউন্ট তৈরি করে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে নিজের একটি একাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে। একাউন্ট খোলার পরে আপনাকে আপনার profile তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা, পোর্টফোলিও এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে। এতে ক্লায়েন্টরা আপনাকে কাজ দেওয়ার জন্য অধিক আগ্রহী হবেন।

এরপর ওয়েবসাইটের সার্চ অপশন ব্যবহার করে আপনার দক্ষতার সঙ্গে মিলিয়ে কাজ খুঁজতে হবে। উপযুক্ত কাজ পেয়ে গেলে ক্লায়েন্টকে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন সম্পর্কে একটি প্রপোজাল পাঠাতে হবে। প্রপোজালে কাজটি কিভাবে করবেন, সময়সীমা এবং কাজের বিনিময়ে কত টাকা নিতে চান এসব বিষয় উল্লেখ করতে হবে।

কোনো কোনো ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য আপনি যে সার্ভিস বা পরিষেবা প্রদান করবেন সেটা গিগ হিসেবে পোস্ট করতে হয়। এরপর ক্লায়েন্টরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার গিগের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং আপনার সাথে কাজের বিষয়ে যাবতীয় আলাপ আলোচনা করতে পারবেন।

কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর পারিশ্রমিক আপনার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের শর্ত অনুযায়ী আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট, PayPal, বা অন্য কোন payment method এর মাধ্যমে আপনার ইনকামের টাকা তুলতে পারবেন।

২. এড নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট:

এড নেটওয়ার্ক (Ad Network) ওয়েবসাইট হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বিজ্ঞাপনদাতাদের (Advertisers) এবং প্রকাশকদের (Publishers) মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। বিজ্ঞাপনদাতারা এসব ওয়েবসাইটে তাদের পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং অ্যাপস এর owner-রা তাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা উপার্জন করেন।

এড নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট গুলো সাধারণত ওয়েবসাইট মালিক, ব্লগার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা অ্যাপ ডেভেলপারদেরকে তাদের কনটেন্টে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। Google AdSense, Ezoic, Media.net, Adsterra, Propeller Ads ইত্যাদি হলো প্রচুর জনপ্রিয় কিছু এড নেটওয়ার্ক।

এই সাইটগুলো থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি নিয়মিত ভালো মানসম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

যখন আপনার ব্লগে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে traffic/visitors আসতে শুরু করবে তখন আপনি যেকোনো একটি advertising program এর সাথে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে connect করতে পারবেন।

এরপর এড নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট আপনাকে কিছু ad code দিয়ে দিবে। আপনার ওয়েবসাইটের যে জায়গায় আপনি বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেই জায়গায় এড কোডগুলো বসাতে হবে। এরপর সেই জায়গাগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং লোকেরা বিজ্ঞাপনে click করলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যত বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে আপনার আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি হবে।

CPC (Cost Per Click), CPM (Cost Per Thousand Impressions), CPA (Cost Per Action) ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে সাধারণত বিজ্ঞাপনগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

৩. এফিলিয়েট পার্টনার প্রোগ্রাম:

ইন্টারনেটে বিভিন্ন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে যেমন Amazon Associates, ClickBank, Commission Junction, ShareASale ইত্যাদি। আপনি আপনার blog বা website এর niche অনুযায়ী affiliate program নির্বাচন করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি অনলাইন ইনকামের প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্যদের পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন (commission) উপার্জন করতে পারবেন।

যেকোনো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে register করার পর আপনি কোনো পণ্য বা সেবার জন্য একটি বিশেষ লিংক (affiliate link) পাবেন, যা আপনি আপনার ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য platform-এ শেয়ার করতে পারবেন। যখন কেউ আপনার লিংক ব্যবহার করে পণ্যটি কিনবে বা সেবাটি নেবে তখন আপনি কমিশন পাবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ সফল হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। শুরুতে আপনার আয় কম হতে পারে, তবে সময়ের সাথে সাথে আপনার অভিজ্ঞতা এবং কৌশল উন্নত হবে এবং ইনকামও বৃদ্ধি পাবে।

৪. অনলাইন ফটো সেলিং ওয়েবসাইট:

অনলাইনে প্রচুর স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অনলাইন ফটো সেলিং ওয়েবসাইট গুলো মূলত ফটোগ্রাফার এবং ক্রেতাদের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

ফটোগ্রাফাররা এই ওয়েবসাইট গুলোতে তাদের তোলা ছবি আপলোড করতে পারেন এবং ক্রেতারা সেই ছবি কিনতে পারেন। স্টক ফটো সেলিং ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে।

এরপর আপনার মোবাইল বা DSLR ক্যামেরায় তোলা ছবি ও ফটোগ্রাফিক কাজগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আপলোড করার সময় ছবি সম্পর্কিত তথ্য যেমন ক্যাটাগরি, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন ইত্যাদি সঠিকভাবে যুক্ত করতে হবে।

আপলোড করা ছবি গুলোর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ছবি গুলো অনুমোদন দিয়ে দিবে। আর অনুমোদন হয়ে গেলে স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে আপনার ছবিগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাবে এবং ক্রেতারা সেগুলো কিনতে পারবে।

Shutterstock, Adobe Stock, Getty Images, Alamy iStock এই stock image website গুলো ফটোগ্রাফারদের ছবি বিক্রি করে আয় করার একটি সুযোগ প্রদান করে, যেখানে তারা তাদের সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

৫. অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট:

Online survey website হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সার্ভে পূরণ করে টাকা বা পুরস্কার উপার্জন করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য জরিপ (survey) পরিচালনা করে থাকে যা সাধারণত মার্কেট রিসার্চ, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব বহন করে।

অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইট গুলোর সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইনকাম করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

Swagbucks, Survey Junkie, Toluna, ySense, Vindale Research, Pinecone Research এই ওয়েবসাইটগুলো মূলত সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ঘরে বসে উপার্জন করার সুবিধা দেয়। যদিও এখান থেকে বড় অংকের টাকা আয় করা কঠিন, তবে এটি একটি পার্ট-টাইম বা সাইড ইনকামের উৎস হতে পারে।

সাধারণত সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট অর্থ আয়ের পর পেমেন্ট প্রদান করা হয়। Payment method হিসেবে PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার বা গিফট কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬. মাইক্রো-টাস্ক ওয়েবসাইট:

মাইক্রো-টাস্ক (Micro-task) ওয়েবসাইটগুলো এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো করে আয় করা যায়।

এই টাস্কগুলো সাধারণত সহজ এবং দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, যেমন ডাটা এন্ট্রি, ইমেজ লেবেলিং, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ছোট রিভিউ লেখা, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার ইত্যাদি।

বিভিন্ন কোম্পানি, ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠান তাদের ছোটো ছোটো কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য মাইক্রো-টাস্ক ওয়েবসাইটগুলোর সহায়তা নিয়ে থাকে। এই কাজগুলোতে সাধারণত অল্প সময় লাগে এবং স্বল্প স্কিলে সম্পন্ন করা যায়। ক্লায়েন্টরা ওয়েবসাইটে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজগুলো পোস্ট করে থাকে। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ প্রদান করা হয়, যা কাজের ধরণ ও জটিলতার ওপর নির্ভর করে।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো – (২০২৪): সেরা ১৫টি

ইনকাম করার ওয়েবসাইট:ধরন / বৈশিষ্ট্য:
1. Google AdSenseকনটেন্ট মনিটাইজ করিয়ে ইনকাম করার বিশ্বস্ত অ্যাড নেটওয়ার্ক।
2. YouTubeচ্যানেল বানিয়ে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম।
3. Shutterstockছবি বিক্রি করে ইনকাম করার জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
4. Adsterraওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন।
5. Freecash.comজনপ্রিয় মাইক্রো-জব ওয়েবসাইট
6. Ezoicব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট মনিটাইজ করিয়ে ইনকাম।
7. Medium.comকনটেন্ট পাবলিশিং প্লাটফর্ম।
8. 2captcha.comক্যাপচা টাইপিং করে উপার্জন করার প্লাটফর্ম।
9. Swagbucksমাইক্রো-টাস্ক ও পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট।
10. Facebook Marketplaceপ্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করার প্লাটফর্ম।
11. ySenseছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো করে ইনকাম করার প্লাটফর্ম।
12. Fiverrসেরা ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম।
13. Google AdMobমোবাইল অ্যাপ মনিটাইজেশন করার প্লাটফর্ম।
14. Facebook (In stream ads)ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে ইনকাম।
15. Dreamstimeঅনলাইন ফটো সেলিং ওয়েবসাইট।

1. Google AdSense

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করুন

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের দ্বারা পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রোগ্রাম। এটি লোকদেরকে তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন (ads) দেখিয়ে আয় করার সুযোগ দেয়।

গুগল এডসেন্সে সাইন আপ করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসাতে পারবেন। এরপর গুগল নিজে নিজেই আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এবং ভিজিটরদের জন্য প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনগুলো দেখাতে শুরু করবে।

যখন লোকেরা এই বিজ্ঞাপনগুলোর ওপর ক্লিক করবে তখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে।

এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি কি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন সেটা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন: কনটেন্ট কোয়ালিটি, CPC (Cost Per Click), CTR (Click Through Rate), কি পরিমাণ ট্রাফিক পাচ্ছেন, কোন দেশের ট্রাফিক পাচ্ছেন ইত্যাদি।

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে:

  • প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনাকে নিয়মিত মানসম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।
  • আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্সে সাইন আপ করতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের সাথে এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি যুক্ত (connect) করতে হবে।
  • গুগল থেকে প্রাপ্ত ad code গুলো আপনার ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট স্থানে যুক্ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, sidebar, header, footer, inside content ইত্যাদি জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসাতে পারেন।
  • নিয়মিত নতুন এবং ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
  • পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনার আয় কমপক্ষে $100 হতে হবে। আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হয়ে গেলে ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

2. YouTube

বর্তমানে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে ইউটিউব সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাইট। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা এখন খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

এজন্য প্রথমে আপনাকে গুগল একাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে সাইন আপ করতে হবে। এরপর আপনাকে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে হবে।

আপনি যেকোনো বিষয় বা টপিক বা niche এর ওপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল বানাতে পারেন। যেমন টেক, ভ্লগিং, রেসিপি, ফিটনেস, গেমিং, রিভিউ, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।

অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে, যে বিষয়ের ওপর আপনার ভালো knowledge এবং experience রয়েছে, সেই বিষয়ে চ্যানেল তৈরি দ্রুত ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। এতে প্রতিদিন আপনার চ্যানেলে নতুন নতুন দর্শকরা আসতে থাকবে এবং আপনার views ও subscribers দুটোই ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে।

চ্যানেলের ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ হলে আপনি monetization চালু করার জন্য Youtube partner program এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে apply করার সময় আপনাকে Google AdSense অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে যত বেশি ভিউস এবং সাবস্ক্রাইবারস আপনার ইউটিউব চ্যানেলে থাকবে, ইউটিউব থেকে আপনার ইনকামের সম্ভাবনাও তত বেশি থাকবে। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা কোনো টাকা বিনিয়োগ বা ডিপোজিট না করেই ফ্রি অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট YouTube থেকে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন।

ইউটিউবে কাজ করার সুবিধা:

  • ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বানাতে পারবেন।
  • ইউটিউবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে নিজের চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
  • আপনার পছন্দমতো যেকোনো নিশ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ যে বিষয়ের ওপর আপনার ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই বিষয়ে চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
  • ইউটিউব থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

3. Shutterstock

Shutterstock থেকে আয় করুন

আপনি যদি ছবি বা ফটো তুলতে অধিক পছন্দ করে থাকেন এবং আপনার একটি ভালো ক্যামেরা থাকা মোবাইল বা DSLR ক্যামেরা আছে, তাহলে আপনি Shutterstock ওয়েবসাইটে আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন।

এটি হলো স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফাররা তাদের তোলা ফটো বা ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার সুযোগ পান।

এই ফটো সেলিং ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের জন্য আপনাকে প্রথমে এখানে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট বানানোর পর আপনার প্রোফাইল ভালোভাবে সাজাতে হবে।

এরপর কয়েকটি high quality image আপনার একাউন্টে upload করতে হবে। ছবি আপলোডের সময় অবশ্যই category এবং description ভালোভাবে দিতে হবে।

আপলোড হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ আপনার ফটোগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ছবিগুলো অনুমোদন দিয়ে দিবে। একবার অনুমোদন হয়ে গেলে ক্রেতারা আপনার ছবিগুলো কিনতে পারবে এবং এভাবে স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখার বিষয়:

  • আপনার ছবি তোলার শখকে অর্থ উপার্জনে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইট অধিক কার্যকর।
  • একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে কোনো ডিপোজিট বা বিনিয়োগ করতে হবে না।
  • ছবির পাশাপাশি illustrations, vectors, videos ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারবেন।
  • নিয়মিত ইউনিক এবং উন্নত মানের ফটো আপলোড করতে হবে।
  • প্রতিটি ছবি বিক্রির জন্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পেতে পারবেন।

4. Adsterra

Adsterra থেকে ইনকাম করুন

Adsterra হলো জনপ্রিয় একটি এড নেটওয়ার্ক যা ওয়েবসাইট মালিকদের (publishers) তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে করে আয় করার সুযোগ দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট, যেমন পপ-আন্ডার, ডিসপ্লে ব্যানার, ভিডিও, নেটিভ বিজ্ঞাপন এবং ডিরেক্ট লিংক পাবলিশারদের সাইটে দেখিয়ে থাকে।

বিশেষ করে যদি গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটটিকে অনুমোদন (approval) না করে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর বিকল্প উপার্জনের উপায় হিসেবে জনপ্রিয় এই এড নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করতে পারবেন।

Adsterra থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি নিয়মিত মানসম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। এরপর আপনাকে একটি Adsterra account খুলতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে এই একাউন্টের সাথে কানেক্ট করতে হবে।

সাধারণত এখানে আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করার কিছু সময়ের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যায় এবং এখানে গুগল এডসেন্স এর মতো ওয়েবসাইট অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করতে হয় না।

ওয়েবসাইট সংযুক্ত করার পর আপনার আর্টিকেলের ভিতর বিজ্ঞাপন সেট আপ করতে হবে। যখন কেউ আপনার সাইটে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলোতে ক্লিক করবে তখন আপনার adsterra account-এ নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার জমা হয়ে যাবে।

মনে রাখবেন, এই এড নেটওয়ার্ক থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটরস থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে, বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে, ফলে আপনার ইনকামও বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

এখানে উপার্জিত অর্থ আপনি পেপাল বা ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

আমি আগেই বলেছি, যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে Google AdSense এর দ্বারা এপ্রুভ করাতে সফল না হন, তাহলে আপনি এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি সবসময় ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে ইনকামের জন্য এডসেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

5. Freecash.com

Freecash থেকে টাকা উপার্জন করুন

Freecash.com হলো এমন একটি ফ্রিতে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ছোটো ছোটো কাজ সম্পন্ন করে উপার্জন করতে পারেন বা পুরস্কার জিততে পারেন।

এই সাইটটি মূলত অফারওয়াল, সার্ভে এবং অন্যান্য মাইক্রো-টাস্ক সম্পাদন করার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ দেয়, যা পরে নগদ অর্থ, গিফট কার্ড বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরিত করা যায়।

আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অবসয় সময়ে কাজ করে এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে Freecash.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

একাউন্ট বানানোর পর আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমন অ্যাপ ডাউনলোড করা, গেম খেলা, সাবস্ক্রিপশন নেওয়া বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করার মতো কাজগুলো আপনাকে করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

কিছু মাইক্রো-টাস্ক পাওয়া যায়, যেমন ভিডিও দেখা, অ্যাড ক্লিক করা বা ছোট ছোট কাজ যা সহজে এবং দ্রুত করা যায়। এই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার বন্ধুদের রেফার করে অতিরিক্ত ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত পয়েন্ট জমা হলে আপনি এগুলো নগদ অর্থে (PayPal, Skrill, Bitcoin, Ethereum, ইত্যাদির মাধ্যমে), গিফট কার্ডে (Amazon, Google Play, Steam, ইত্যাদি) বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করতে পারেন।

অর্থাৎ এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার খুব বেশি অভিজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারে সাধারণ দক্ষতা থাকে, তাহলেই আপনি এই মাইক্রো জব ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন।

6. Ezoic

Ezoic হলো গুগল এডসেন্স এর মতো একটি বিখ্যাত এড নেটওয়ার্ক যা ব্লগারদেরকে তাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

যদি আপনার ওয়েবসাইটে search engine থেকে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক আসে, তাহলে Ezoic ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের performance এবং earning উভয়ই বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

Ezoic থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনাকে প্রথমে Ezoic এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য প্রদান করে সাইন আপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর Ezoic আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং মান যাচাই করার পরে আপনাকে অনুমোদন দেবে।

অনুমোদন হয়ে গেলে আপনার সাইটে ইজোইক এর বিজ্ঞাপন শো করিয়ে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। Ezoic এর মাধ্যমে আয় করা টাকা আপনি PayPal, Bank transfer, Payoneer ইত্যাদি মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

Ezoic ব্যবহারের সুবিধা:

  • Ezoic-এর AI প্রযুক্তির মাধ্যমে পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট optimize করে থাকে, যা পাবলিশারদের সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন প্লেসমেন্ট করতে সাহায্য করে।
  • এই ad network ব্যবহার করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রচুর pageview এর প্রয়োজন হয় না, নতুন এবং ছোটো সাইটেও আপনি Ezoic এপ্রুভাল পেতে পারবেন।
  • Ezoic আপনাকে Google AdSense, Media.net এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলোর সাথে কাজ করতে দেয়, যা আয়ের সম্ভাবনা বাড়ায়।

7. Medium.com

Medium এ লেখালেখি করে আয় করুন

Medium হলো একটি অনলাইন কনটেন্ট পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে লেখকরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা share করতে পারেন। Medium থেকে ইনকাম করার জন্য মূলত Medium Partner Program (MPP) এ যুক্ত হতে হয়।

Medium Partner Program হলো এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে লেখকরা তাদের প্রকাশিত আর্টিকেলের জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এখান থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং অডিয়েন্স বেস তৈরি করতে হবে।

Medium এর প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ প্লান রয়েছ। যেসকল লোকেরা medium premium membership ব্যবহার করছেন, তারা কতটুকু সময় ধরে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো পড়ছেন, এর উপর নির্ভর করে medium, প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ ফী থেকে কিছু অংশ লেখকদের দিয়ে থাকে।

মিডিয়াম থেকে ইনকামের আরেকটি সহজ উপায় হলো medium affiliate program. অর্থাৎ আপনি যদি রেফার করার মাধ্যমে নতুন নতুন members-দের medium premium membership এ যুক্ত করাতে পারেন, তাহলে তাদের মেম্বারশিপ ফি থেকে কিছু অংশ আপনাকে কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে।

Medium-এ কাজ করার সুবিধাগুলো:

  • সম্পূর্ণ ফ্রিতে মিডিয়ামে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • মিডিয়াম প্লাটফর্মে নিজের অডিয়েন্স বেস তৈরি করতে পারবেন।
  • আপনার নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে মিডিয়াম থেকে কোয়ালিটি ট্রাফিক নিতে পারবেন।

8. 2captcha.com

ক্যাপচা পূরণ করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

2Captcha.com একটি অনলাইন ইনকাম সাইট যেখানে আপনি ক্যাপচা টাইপিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজটি সাধারণত data entry কাজের মতো, যেখানে আপনাকে বিভিন্ন captcha code দেখতে হবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে।

এখান থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই সাইটে গিয়ে একটি free account বানাতে হবে। একাউন্ট খোলার পর আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা দেওয়া হবে, যেমন text captcha, recaptcha/image captcha, যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে।

প্রতিটি ক্যাপচা সমাধানের জন্য আপনাকে $0.001 থেকে $0.005 পর্যন্ত দেওয়া হবে। যদিও এটি খুব বেশি নয়, তবে নিয়মিত এবং দ্রুত কাজ করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি 2Captcha-এর রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে অতিরিক্ত আর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

যখন আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা হবে (সাধারণত $0.5 থেকে $1), তখন আপনি PayPal, Payoneer এবং অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যাদের হাতে সময় বেশি এবং কোনো দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এই সাইটটি একটি উপযুক্ত ইনকামের রাস্তা হতে পারে।

9. Swagbucks

Swagbucks একটি online rewards platform যেখানে users-রা বিভিন্ন কাজ (task) সম্পন্ন করে point উপার্জন করতে পারেন এবং এই পয়েন্টগুলো cash বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারেন।

এই মাইক্রো-জব সাইট থেকে ইনকাম করার জন্য সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা, অনলাইন কেনাকাটা, গেম খেলা, web search করা, বিভিন্ন অফার কমপ্লিট করা, অ্যাপ ডাউনলোড, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা এই ধরনের কাজগুলো করতে পারবেন।

এছাড়াও এই সাইটের রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নতুন নতুন ইউজাদের ওয়েবসাইটে একাউন্ট করিয়ে অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত swagbucks points জমা হবে, তখন সেগুলো Amazon, Walmart, PayPal ইত্যাদি জনপ্রিয় গিফট কার্ডের জন্য redeem করতে পারবেন।

10. Facebook Marketplace

Facebook Marketplace হলো ফেসবুকের এমন একটি feature যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের এলাকাভিত্তিক পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন। এটি একটি online platform যেখানে আপনি used product/items বা new items ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করার জন্য আলাদা কোনো app download করার প্রয়োজন হয় না। এটি সরাসরি Facebook app বা ওয়েবসাইটের মধ্যেই পাওয়া যায়।Facebook Marketplace থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি, নতুন পণ্য বিক্রি, ড্রপশিপিং, হাতের তৈরি পণ্য বিক্রি ইত্যাদি। Facebook Marketplace থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই product এর ভালো ছবি এবং স্পষ্ট বিবরণ দিয়ে post করতে হবে এবং ক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। এছাড়া সঠিক মূল্য নির্ধারণ এবং ভালো সার্ভিস প্রদান করাও সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

একবার ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারলে আপনি এটাকে ই-কমার্স দোকান হিসেবে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

11. ySense

অনলাইনে সার্ভে করে আয় করার ওয়েবসাইট

ySense একটি অনলাইন মাইক্রোটাস্ক ওয়েবসাইট, যেখান্ব যেকেউ পার্ট টাইম ছোটোখাটো অনলাইন কাজগুলো করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সার্ভে প্রদান করে থাকে। এই সার্ভেগুলো পূরণ করার বিনিময়ে তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পে করে থাকে।

ySense ওয়েবসাইটের উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া, ভিডিও দেখা, বা ওয়েবসাইট ভিজিট করা ইত্যাদি। এই ধরনের অফারগুলো সম্পন্ন করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও ySense ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ছোটো ছোটো কাজ যেমন ডেটা এন্ট্রি, ইমেজ ক্যাপশনিং বা অন্যান্য সহজ কাজগুলো করতে পারবেন।

এগুলোর পাশাপাশি এই সাইটের referral program থেকে আপনি অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ySense থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি PayPal, Payoneer বা বিভিন্ন gift card এর মাধ্যমে cashout করতে পারেন। PayPal-এর মাধ্যমে অর্থ পেতে হলে আপনার একটি ভ্যালিড PayPal account থাকতে হবে।

এই সাইটটি পার্ট টাইম কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং এখানে ইনভেস্টমেন্ট না করে ফ্রিতেই ইনকাম করা যায়।

12. Fiverr

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো Fiverr.

এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে একটি। ফ্রিল্যান্সাররা এখানে একাউন্ট তৈরি করে তাদের প্রদানকৃত সার্ভিস বা পরিষেবার বিবরণ সহকারে গিগ পাবলিশ করে থাকেন। এই গিগের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদানকারী (seller) এবং সার্ভিস গ্রহণকারীর (buyer) মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়।

এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনো সার্ভিস বা পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন এবং সেটা gig হিসেবে publish করতে পারবেন।

এরপর যেকোনো ক্লায়েন্ট ঐ গিগ এর মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং কাজের বিষয়ে আপনার সাথে কথপোকথন করতে পারবে।

Fiverr এ একটি গিগ এর সর্বনিম্ন মূল্য ৫ ডলার হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে ফ্রিলান্সাররা যেসব সার্ভিস বা পরিষেবা দিয়ে থাকে সেগুলো ৫ ডলার থেকে শুরু হয়ে থাকে।

ফাইভার প্লাটফর্মে আপনি graphics design, video editing, content writing, logo design, website/app development, digital marketing, programming ইত্যাদি কাজগুলো করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনার সুন্দর লোগো ডিজাইন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহলে আপনি ফাইভারে গিয়ে $5 থেকে $10 এর বিনিময়ে ক্লায়েন্টদের লোগো ডিজাইনিং সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

Fiverr-এ কাজ করে ইনকাম করার জন্য যা যা করতে হবে:

  • প্রথমত আপনাকে Fiverr ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • একাউন্ট বানানো হয়ে গেলে আপনার বিষয়ে সব তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সঠিকভাবে সাজাতে হবে।
  • এরপর আপনি কোন কাজটি করতে চাচ্ছেন বা কী সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন, কত টাকা চার্জ করবেন, কত দিনের মধ্যে কাজটি শেষ করবেন, কাজের ডেসক্রিপশন ইত্যাদি সহকারে একটি গিগ তৈরি করে পাবলিশ করতে হবে।
  • এরপর ক্লায়েন্টরা সেই গিগের মাধ্যমে আপনার কাছে সার্ভিসটি অর্ডার করতে পারবে এবং এভাবে আপনি ফাইভারে কাজ পেতে পারবেন।

13. Google AdMob

Google AdMob হলো মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য একটি অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম, যা গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে ডেভেলপাররা তাদের মোবাইল অ্যাপে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইনকাম করতে পারেন।

AdMob অ্যাপের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। যেমন ব্যানার বিজ্ঞাপন, ইন্টারস্টিশিয়াল বিজ্ঞাপন, রিওয়ার্ডেড ভিডিও বিজ্ঞাপন, এবং নেটিভ বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।

গুগল এডমব থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমে একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবে। এটি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস বা উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য হতে পারে। এমনিতে আমি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করার বিষয়ে আগের আর্টিকেলে আপনাদের বলেছি। এরপর আপনার বানানো অ্যাপে বিজ্ঞাপন সেট আপ করার জন্য Google AdMob একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

তারপর এডমব একাউন্টে ad unit তৈরি করতে হবে এবং ad code গুলো আপনার অ্যাপে বসাতে হবে। সবশেষে Google Play Store-এ আপনার মোবাইল অ্যাপটিকে পাবলিশ করতে হবে।

মনে রাখবেন, যত বেশি পরিমাণে লোকেরা আপনার অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে, তত বেশি পরিমাণে ইনকাম আপনার হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার অ্যাপটি বিভিন্ন জায়গায় promote করতে হবে, যাতে বেশি সংখ্যক লোকেরা আপনার অ্যাপটি তাদের মোবাইলে install করে ব্যবহার করে।

গুগল এডমব একাউন্টে যখন ১০০ ডলার জমা হয়ে যাবে, তখন সেই টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

14. Facebook (In-stream ads)

Facebook In-stream ads হলো এক ধরনের ভিডিও বিজ্ঞাপন, যা ফেসবুকের ভিডিও কনটেন্টের মাঝখানে, শুরুতে বা শেষে প্রদর্শিত হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো মূলত Facebook এবং Instagram প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কনটেন্টের ভেতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হয়।

কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এই বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, কারণ যখন দর্শকরা যখন তাদের ভিডিও দেখেন তখন এই বিজ্ঞাপনগুলো প্লে হয়। এর বিনিময়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অর্থ উপার্জন করে থাকেন।

Facebook In-stream ads থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি Facebook Page তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট পোস্ট করবেন।

আপনার কন্টেন্ট শিক্ষা, বিনোদন, টিউটোরিয়াল, প্রোডাক্ট রিভিউ ইত্যাদি ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ের ওপর হতে পারে। ভিডিওগুলো এমন হতে হবে যাতে সেগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে লোকেরা সেগুলো দেখে।

Facebook-এর ইন-স্ট্রিম অ্যাড থেকে আয় করার জন্য আপনার কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার পেজে পোস্ট করা 3 মিনিট বা তার বেশি লম্বা ভিডিওগুলোর জন্য শেষ 60 দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০,০০০ টি ১-মিনিটের ভিউ থাকতে হবে।

আর পেজে কাজ করার সময় অবশ্যই আপনাকে Facebook’s Partner Monetization Policies অনুসরণ করতে হবে। ফেসবুকের সব নিয়ম নীতিমালা গুলো সঠিকভাবে মানলে আপনি তাড়াতাড়ি মনিটাইজেশনের জন্য অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

যদি আপনার পেজে facebook monetization চালু হয়ে যায়, তাহলে আপনার ভিডিওগুলোতে in-stream ads দেখিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

বিশ্বের সেরা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুক থেকে লক্ষ লক্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর In-stream ads এর মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন।

15. Dreamstime

স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করুন

Dreamstime হলো একটি জনপ্রিয় স্টক ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফটোগ্রাফাররা তাদের বানানো ফটোগ্রাফ, ইলাস্ট্রেশন এবং ভিডিও বিক্রি করতে পারেন।

এই সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনাকে contributor হিসেবে এই সাইটে register করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনি আপনার তৈরি করা ফটোগ্রাফ, ভেক্টর বা ভিডিও ফাইল আপলোড করতে পারবেন।

একটি ছবির বিনিময়ে আপনাকে কত টাকা দেওয়া হবে সেটা ছবির সাইজ এবং ছবিটি কতবার ক্রয় করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে থাকে। আপনি একজন ভালো মানের ফটোগ্রাফার হয়ে থাকলে এই stock photography সাইটের exclusive photographers program-এ যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Dreamstime-এ উপার্জিত অর্থ পেপাল, Payoneer বা অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

FAQ’s: ফ্রি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

Q. ঘরে বসে কি টাকা আয় করা যায়?

হ্যাঁ অবশ্যই। বর্তমানে বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। যেমন: কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এইসব কাজ করে প্রচুর পরিমাণে লোকেরা ঘরে বসে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

Q. ঘরে বসে ইনকাম করা যায় কিভাবে?

আপনি যদি ঘরে বসে উপার্জন করার কথা ভাবছেন, তাহলে ফ্রি টাকা ইনকাম ওয়েবসাইট গুলো আপনার অনেক কাজে আসবে। ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সাইট, পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট, এড নেটওয়ার্ক সাইট, মাইক্রো-জব সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ইত্যাদি।

Q. অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য সেরা ওয়েবসাইট কোনগুলো?

কোনো বিনিয়োগ ছাড়া অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য কয়েকটি সেরা ওয়েবসাইট হলো Fiverr, Upwork, Google AdSense, Shutterstock, Facebook, Freecash.com, Medium.com ইত্যাদি।

আমাদের শেষ কথা

তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে আমি বিশ্বস্ত টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। Google AdSense, Ezoic এই ধরনের সাইটগুলো থেকে আমি নিজেও প্রতিনিয়ত ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছি।

আপনারা এই সাইটগুলোতে পার্ট টাইম কাজ করেও ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে, কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে সবকিছু শিখে নিতে হবে।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Similar Posts

5 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *