ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার সেরা ১২ টি সাইট – (২০২৪)
ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট: আজকাল প্রত্যেকেই নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে কোনো ধরনের বিনিয়োগ না করেই ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন।
কোনো প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার এমনিতে অনেক সহজ উপায় রয়েছে।
তাছাড়া আপনি ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলোতে বিভিন্ন ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরুপ, প্রচুর সংখ্যক লোকেরা অনলাইনে এড দেখে ইনকাম, ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম, গেম খেলে ইনকাম এই ধরনের কাজগুলোর সাথে জড়িত।
এই কাজগুলো করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরনের ডিপোজিট বা বিনিয়োগ করতে হয় না। তবে, এগুলোতে আপনাকে প্রচুর সময় ধরে কাজ করতে হবে এবং এর বিনিময়ে আপনার ইনকামের পরিমাণ থাকবে খুবই কম।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু ওয়েবসাইট শেয়ার করতে চলেছি যেগুলোতে কাজ করে আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকেই এইসব ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করছেন। আর মজার ব্যাপার হলো, এই ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইটগুলোতে কাজ করতে আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার সাইট – (২০২৪)
বর্তমান সময়ে উপার্জন করার উদ্দেশ্যে যেকোনো ধরনের কাজ বা ব্যবসা করতে গেলে অল্প হলেও কিছু টাকা অবশ্যই ইনভেস্ট করতে হয়।
এজন্য ইনভেস্টমেন্ট বা ডিপোজিট ছাড়াই অনলাইন ইনকাম করার বিশ্বস্ত এবং কার্যকর ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়াটা একটু কঠিন।
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, আজকের আর্টিকেলে আমি একদম জিরো ইনভেস্টমেন্টে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার ১২ টি সেরা ওয়েবসাইটের বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দিবো।
এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছেন। অনেকে এত বেশি পরিমাণে টাকা আয় করছেন যে তাদের আলাদা করে আর কোনো চাকরি বা ব্যবসা করার প্রয়োজন হচ্ছেনা।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট এবং পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে নিচে বলে দেওয়া সাইটগুলোতে পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
কোনো ধরনের ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম করার সেরা ১২ টি সাইট
ইনকাম করার সাইট: | বৈশিষ্ট্য: |
---|---|
1. Fiverr | এখানে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ফ্রিলান্সিং কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। |
2. Shutterstock | ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। |
3. Google AdSense | ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন (ads) দেখিয়ে টাকা উপার্জন। |
4. Freecash.com | বিভিন্ন রকমের ছোটো এবং সহজ কাজ করে উপার্জন করা যায়। |
5. YouTube | চ্যানেল বানিয়ে সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলাড করে প্রচুর আয় করা সম্ভব। |
6. Upwork | আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। |
7. Facebook Marketplace | অনলাইনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন। |
8. Freelancer | ফ্রিল্যান্সিং মাইক্রো জব পাওয়ার সেরা ওয়েবসাইট। |
9. Swagbucks | বিভিন্ন মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে পেমেন্ট নেওয়া যায়। |
10. ySense | একাধিক ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো সম্পন্ন করে ইনকাম করা যায়। |
11. Dreamstime | অনলাইনে ফটো বা ছবি বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন। |
12. 2captcha.com | ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার ওয়েবসাইট। |
1. Fiverr
আপনি যদি কোনো ধরনের ডিপোজিট না করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার কথা ভাবছেন তাহলে Fiverr হলো আপনার জন্য অন্যতম একটি ওয়েবসাইট।
ফাইভার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে একটি। এই ওয়েবসাইটে “gig” নামে একটি সিস্টেম রয়েছে, যেই সিস্টেমের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদানকারী এবং সার্ভিস গ্রহণকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়।
এখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনো সার্ভিস বা পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন এবং সেটা গিগ হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন।
এরপর যখন কোনো ক্লায়েন্ট বা বায়ার আপনার অফার করা সার্ভিসটি নিতে আগ্রহী হবে তখন সে ঐ গিগটির মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং সার্ভিসটি অর্ডার করতে পারবে।
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যখন Fiverr-এ নিজের একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনার প্রাথমিক তথ্য দিয়ে প্রোফাইল আপডেট করার পর এখান থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে gig তৈরি করতে হয়।
এই সাইটে একটি গিগ এর সর্বনিম্ন মূল্য ৫ ডলার হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যেকোনো সার্ভিস বা পরিষেবা সর্বনিম্ন ৫ ডলারে ক্লায়েন্টদের প্রদাণ করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটে আপনি graphics design, video editing, content writing, logo design, website/app development, animation, translation, digital marketing, programming ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
মনে করুন, আপনার সুন্দর ভিডিও এডিট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহলে আপনি ফাইভারে গিয়ে ৫ থেকে ১০ ডলারে ক্লায়েন্টদের ভিডিও এডিটিং সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
Fiverr-এ কাজ করে ইনকাম করার জন্য কী করতে হবে?
- প্রথমত আপনাকে Fiverr ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখানে একাউন্ট বানানোর জন্য আপনাকে কোনো টাকা ডিপোজিট করতে হবে না।
- একাউন্ট বানানো হয়ে গেলে আপনার প্রোফাইলটিকে ভালোভাবে সাজাতে হবে। আপনার profile picture এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য সুন্দরভাবে দিয়ে প্রোফাইল আপডেট করতে হবে।
- এরপর আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা গিগ (gig) পাবলিশ করতে হবে। আপনি কোন কাজটি করতে চাচ্ছেন বা কী সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন, কাজটির বিনিময়ে কত টাকা চার্জ করবেন, কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিবেন, কাজের ডেসক্রিপশন ইত্যাদি সহকারে একটি গিগ তৈরি করতে হয়।
- এরপর যখন লোকেরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফাইভারে থাকা গিগগুলো থেকে আপনার গিগটি বেছে নিবে অর্থাৎ আপনার অফার করা সার্ভিসটি নিতে আগ্রহী হবে তখন আপনি তার সাথে কথাবার্তা বলতে পারবেন।
- এভাবে আপনি একাধিক গিগ তৈরি করে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করে ফাইভার থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ঘরে বসে থেকেই ইনকাম করতে পারবেন।
2. Sutterstock
Shutterstock হলো এমন একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফটোগ্রাফার, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ভিডিওগ্রাফাররা তাদের বানানো কনটেন্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি ছবি তোলা, ডিজাইন তৈরি করা বা ভিডিও শুটিং করতে অধিক পছন্দ করে থাকেন, তাহলে Shutterstock থেকে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।
Shutterstock হলো কোনো ডিপোজিট ছাড়াই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার একটি অত্যন্ত কার্যকর ওয়েবসাইট। ছবি তোলা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে এই সাইটটি আপনার ঘরে বসে উপার্জনের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
Shutterstock থেকে আয় করার জন্য সবচেয়ে প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, এখানে একাউন্ট বানানোর জন্য আপনাকে কোনো প্রকার ডিপোজিট বা বিনিয়োগ করতে হবে না।
এজন্য আপনার ইমেইল এড্রেস, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে, এই সাইটে একাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথেই আপনি ছবি বিক্রি করতে পারবেন না।
প্রথমে আপনাকে আপনার তোলার সেরা ১০টি ছবি তাদের কাছে পাঠাতে হবে। এরপর Shutterstock কর্তৃপক্ষ আপনার পাঠানো ছবিগুলো পরীক্ষা করবে।
যদি আপনার ছবি বা ফটোগুলোর কোয়ালিটি খুব ভালো হয় এবং তারা ছবিগুলো পছন্দ করে তাহলে আপনার একাউন্টটিকে তারা অনুমোদন দিবে।
আর একাউন্ট অনুমোদিত হয়ে গেলে আপনি আপনার মোবাইল ফোন বা DSLR ক্যামেরা দিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন এবং সেগুলো আপনার Shutterstock একাউন্টে আপলোড করতে পারবেন।
এরপর যখন কেউ আপনার আপলোড করা ছবিগুলো ক্রয় করবে তখন আপনি তার বিনিময়ে ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন এবং আপনার তোলার ছবির কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই কাজটিকে online business হিসেবেও বিবেচনা করতে পারেন।
3. Google AdSense
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের দ্বারা পরিচালিত এমন একটি advertising network যারা মাধ্যমে ব্লগার এবং ইউটিউবার-রা তাদের ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ঘরে বসে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ পরিমাণে লোকেরা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
Google AdSense থেকে ইনকাম করার জন্য আপনকে এক টাকাও ডিপোজিট করতে হবে না। তবে, এর মাধ্যমে আয় করার জন্য যেহেতু একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের প্রয়োজন, তাই ব্লগ বানানোর জন্য আপনাকে কিছু টাকা অবশ্যই খরচ করতে হবে।
এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়ের জন্য আপনাকে প্রথমে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানাতে হবে। এরপর আপনার ব্লগে নিয়মিত ভালো এবং কাজের আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ে আপনি ভালো জানেন সেই বিষয় বা টপিকের উপর আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন।
যখন আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটরস আসতে শুরু করবে তখন গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগকে এডসেন্স এর সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।
তারপর গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগকে অনুমোদন করলে আর্টিকেলে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা যায়। এজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই ১০০০ সাবসক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আসলেই কোনো ডিপোজিট না করে অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব। আমি নিজের ৩ বছর ধরে এই মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছি।
আমার আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় আপনারা যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখছেন, এগুলো গুগল এডসেন্স এর দ্বারা দেখানো হচ্ছে।
4. Freecash.com
Freecash হলো একটি মাইক্রো-জব ওয়েবসাইট, যেখানে সার্ভে পূরণ করা, গেম খেলা, অ্যাপ টেস্ট ও ডাউনলোড করা এবং আরো বিভিন্ন ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো করে অর্থ উপার্জন করা যায়।
এখানে মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে আয় করার জন্য আপনাকে এই সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। ডিপোজিট ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি নিজের একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, এখানে বিভিন্ন টাস্কগুলো সম্পন্ন করার বিনিময়ে আপনাকে সরাসরি টাকা দেওয়া হবে না। প্রতিটি টাস্ক ঠিকঠাকভাবে করার বিপরীতে আপনার কিছু কয়েন (coin) দেওয়া হবে।
১০০০ কয়েন আপনার একাউন্টে জমা হলে যেটা ১ ডলারে কনভার্ট করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ এই সাইটে আপনার ১০০০ কয়েন ইনকাম হওয়া মানে সেখান থেকে আপনি ১ ডলার পেতে পারবেন।
আপনার হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল, laptop বা PC দিয়ে এখানকার micro-task গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়া
Freecash ওয়েবসাইটের সুবিধা:
- একাউন্ট তৈরি করতে কোনো ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হবে না।
- একাধিক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
- Bitcoin, PayPal, VISA, Bank transfer, Amazon ইত্যাদি মাধ্যমে payment নিতে পারবেন।
- নতুন একাউন্ট খুললে welcome bonus হিসেবে ২৫০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারবেন।
5. YouTube
যখন কথা আসছে কোনো ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার, তখন ইউটিউব এর কথা অবশ্যই বলা উচিত। এমনিতে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ।
আমাদের দেশে অনেক ইউটিউবার রয়েছেন, যারা ঘরে বসে কেবল ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।
YouTube থেকে উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল এর দরকার হবে। একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর মানুষের দরকারি ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।
- ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
- ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম
- কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো ?
- ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে ?
প্রতিনিয়ত ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করলে আপনার চ্যানেলে দিন দিন views এবং subscribers বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
আর ইউটিউব থেকে ইনকামের একটি জনপ্রিয় উপায় হলো YouTube monetization. এর জন্য আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে join করতে হবে।
যখন আপনার চ্যানেলে এক হাজার subscribers এবং ৪ হাজার ঘন্টা watch time সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন YouTube Partner Program-এ apply করতে পারবেন। চ্যানেলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সহজেই approval পেয়ে যাবেন এবং ভিডিওতে Google AdSense এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে যেকোনো ব্যক্তি নিজের অবসয় সময়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কোনো টাকা না লাগিয়ে ইনকাম করার জন্য ইউটিউব একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এজন্য আপনার শুধুমাত্র একটি smartphone, একটি mocrophone এবং সাধারণ ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা থাকতে হবে।
6. Upwork
Upwork হলো একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টরা একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রকল্প বা কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দিতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে বের করে উপার্জন করতে পারেন।
Upwork থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং পূর্বের কাজগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। প্রোফাইল পিকচার, পোর্টফোলিও এবং ভালো বায়ো লিখতে হবে যা আপনাকে ক্লায়েন্টের কাছে বিশেষভাবে তুলে ধরবে।
Upwork-এ বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। যেমন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি। আপনার দক্ষতার সাথে মিলে এমন কাজ খুঁজে বের করতে পারবেন।
এই সাইটে কাজ পাওয়ার জন্য proposal submit করতে হয়। আপনার প্রপোজালটি সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট, এবং ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান দেয়ার উপযোগী হতে হবে। প্রপোজালে আপনার অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে আপনি কাজটি সমাধান করবেন তা তুলে ধরতে হয়।
Upwork-এ উপার্জন করা টাকা পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাকে Upwork-এর পেমেন্ট মেথড সঠিকভাবে সেটআপ করতে হবে। যেমন PayPal, Payoneer বা ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে আপনি আপওয়ার্ক থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
যারা নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য আপওয়ার্ক একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে যেকেউ ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন।
7. Facebook Marketplace
Facebook Marketplace হলো ফেসবুকের একটি ফিচার যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের এলাকাভিত্তিক পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন। এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ব্যবহৃত বা নতুন পণ্য বিক্রি করতে বা কিনতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করার জন্য আলাদা কোনো app download করার প্রয়োজন হয় না। এটি সরাসরি Facebook অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মধ্যেই পাওয়া যায়।
Facebook Marketplace থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এখানে কিছু উপায় দেয়া হলো:
- ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি: আপনার বাসায় ব্যবহৃত কিন্তু প্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যগুলো ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, পুরানো ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র, জামাকাপড়, বা অন্যান্য পণ্য।
- নতুন পণ্য বিক্রি: আপনি যদি কোনো business করেন, তাহলে নতুন পণ্য যেমন পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, গ্যাজেট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি online store এর মতো কাজ করে থাকে, যেখানে আপনি প্রতিনিয়ত নতুন পণ্য update করতে পারেন।
- ড্রপশিপিং: ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি business model যেখানে আপনি পণ্য সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন, কিন্তু পণ্যগুলো আপনার কাছে মজুত থাকার দরকার নেই। যখন কোনো ক্রেতা পণ্যের অর্ডার করে থাকে তখন আপনি সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে গ্রাহকের ঠিকানায় পণ্যটি পাঠিয়ে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। Facebook Marketplace-এ ড্রপশিপিংয়ের মাধ্যমে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।
- হাতের তৈরি পণ্য বিক্রি: যদি আপনি ক্রাফটিং, আর্টস, বা হাতের তৈরি অন্য কোনো কাজে দক্ষ হন, তাহলে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। যেমন, হাতে বানানো জুয়েলারি, পেইন্টিং, গৃহসজ্জার পণ্য ইত্যাদি
Facebook Marketplace থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো ছবি এবং স্পষ্ট বিবরণ দিয়ে পণ্য পোস্ট করতে হবে এবং ক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। এছাড়া, সঠিক মূল্য নির্ধারণ এবং ভালো সার্ভিস প্রদান করাও সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
8. Freelancer
Freelancer একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি করে ইনকাম করতে পারেন। এখানে আপনি কোনো বিনিয়োগ বা ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন।
Freelancer.com থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে এই সাইটে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের নমুনা বা পোর্টফোলিও যুক্ত করতে হবে।
Freelancer.com-এ ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রজেক্ট পোস্ট করে থাকেন। আপনি আপনার দক্ষতার সাথে মিলে এমন কাজগুলোতে বিড (প্রস্তাব) করতে পারবেন। বিড করার সময় আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে আপনি প্রজেক্টটি সমাধান করবেন তা উল্লেখ করতে হয়।
এই ওয়েবসাইটে আপনি কনটেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ভয়েস আর্টিস্ট ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ পেতে পারবেন।
Freelancer.com-এ কাজ করার পর পেমেন্ট পাওয়ার জন্য তাদের নির্ধারিত পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করতে হবে, যেমন PayPal, Payoneer, বা ব্যাংক ট্রান্সফার।
যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে চান তাহলে আপনাকে একটি portfolio তৈরি করতে হবে। আপনার কাজের নমুনা এবং সফল প্রজেক্টগুলো আপনার পোর্টফলিওতে যুক্ত করতে হবে। এটি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করবে।
Freelancer.com-এ সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্যশীল এবং নিয়মিত হতে হবে। শুরুতে সময় লাগতে পারে, তবে ভালো কাজ এবং সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
এই ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোনো ধরনের টাকা ডিপোজিট না করে শুধুমাত্র নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
9. Swagbucks
Swagbucks একটি অনলাইন রিওয়ার্ডস প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে পয়েন্ট (যা “SB” নামে পরিচিত) উপার্জন করতে পারেন এবং এই পয়েন্টগুলো cash বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারেন।
এই মাইক্রো-জব সাইট থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায়ে SB উপার্জন করতে পারবেন। যেমন:
- সার্ভে পূরণ করা: Swagbucks-এ বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ কোম্পানির সার্ভে পাওয়া যায়। এই সার্ভেগুলো সম্পন্ন করলে আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
- ভিডিও দেখা: Swagbucks-এ বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট যেমন নিউজ, ট্রেন্ডিং ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন দেখা যায়। ভিডিওগুলো দেখার মাধ্যমে আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
- অনলাইন কেনাকাটা: Swagbucks-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন স্টোর থেকে কেনাকাটা করলে আপনি ক্যাশব্যাকের মতো SB পেতে পারবেন। Swagbucks এর affiliate link এর মাধ্যমে কেনাকাটা করলে আপনি এই পয়েন্ট উপার্জন করবেন।
- গেম খেলা: এই সাইটে কিছু নির্দিষ্ট গেম খেলেও আপনি SB উপার্জন করতে পারবেন।
- ওয়েব সার্চ করা: Swagbucks এর নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ওয়েব সার্চ করেও SB উপার্জন করা যায়।
- অফার কমপ্লিট করা: সাইটটি বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকে যেমন অ্যাপ ডাউনলোড, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া, বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা। এই ধরনের অফারগুলো কমপ্লিট করে আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
- রেফারেল প্রোগ্রাম: এর একটি রেফারেল প্রোগ্রাম আছে। আপনি অন্যদের Swagbucks-এ আমন্ত্রণ জানালে এবং তারা কাজ শুরু করলে তাদের আয়ের একটি অংশ আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে।
এছাড়াও এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শো, ভিডিও এবং ট্রেলার দেখে SB উপার্জন করা যায়। এটি একটি সহজ উপায় যেখানে বিনোদন উপভোগ করার পাশাপাশি ইনকামও করা যায়।
যখন আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত SB জমা হবে, তখন সেগুলো Amazon, Walmart, PayPal ইত্যাদি জনপ্রিয় গিফট কার্ডের জন্য রিডিম করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটে ১০০ পয়েন্টস ইনকাম হওয়া মানে ১ ডলার ইনকাম হওয়া। আপনি আপনার পয়েন্টগুলো গিফট কার্ড বা PayPal ক্যাশে রূপান্তর করতে পারেন।
Swagbucks থেকে ইনকাম করা সহজ এবং বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আপনি নিয়মিতভাবে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এটি সাধারণত ডিপোজিট ছাড়া পার্ট-টাইম ইনকামের জন্য একটি ভালো বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
10. ySense
ySens একটি অনলাইন মাইক্রোটাস্ক এবং সার্ভে প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে এবং সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে বিভিন্ন সার্ভে পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বা গবেষণা সংস্থা পরিচালনা করে। এই সার্ভেগুলো পূরণ করলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ySense-এ বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়, যেমন অ্যাপ ডাউনলোড করা, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া, ভিডিও দেখা, বা কোনো ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা। এই ধরনের অফারগুলো সম্পন্ন করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও ySense বিভিন্ন মাইক্রোটাস্ক প্রদান করে যা সাধারণত ডেটা এন্ট্রি, ইমেজ ক্যাপশনিং বা অন্যান্য সহজ কাজ নিয়ে গঠিত। এই কাজগুলো সম্পন্ন করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এগুলোর পাশাপাশি এই সাইটের রেফারেল প্রোগ্রাম থেকে আপনি অধিক ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইটে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু টাস্ক সম্পন্ন করলে আপনাকে Daily Checklist বোনাস দেওয়া হবে।
এই ওয়েবসাইট থেকে আরেকটি সহজ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেটা হলো পে-টু-ক্লিক অ্যাড। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় ধরে বিজ্ঞাপন (ads) দেখলে এবং ক্লিক করলে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ySense থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি PayPal, Payoneer, বা বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারেন। PayPal-এর মাধ্যমে অর্থ পেতে হলে আপনাকে একটি ভ্যালিড PayPal অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
এই সাইটটি পার্ট টাইম কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং এখানে টাকা ডিপোজিট ছাড়াই ইনকাম করা যায়।
ySense-এ সফলভাবে ইনকাম করার কিছু টিপস:
- প্রতিদিন ySense-এ লগইন করে নতুন সার্ভে এবং টাস্কগুলো চেক করতে হবে।
- রেফারেল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আপনার ইনকাম বাড়াতে পারেন।
- Daily Checklist পূরণ করে বোনাস পেতে পারেন।
- বড় পেমেন্টের জন্য অপেক্ষা না করে নিয়মিত ছোট ছোট অ্যামাউন্ট ক্যাশআউট করুন।
11. Dreamstime
Dreamstime হলো একটি জনপ্রিয় স্টক ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি আপনার ফটোগ্রাফ, ভেক্টর আর্ট, ইলাস্ট্রেশন এবং ভিডিও আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন।
এই সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফটোগ্রাফার বা কনটেন্ট কন্ট্রিবিউটর হিসেবে এই সাইটে register করতে হবে।
তারপর আপনি আপনার তৈরি করা ফটোগ্রাফ, ভেক্টর, বা ভিডিও ফাইল আপলোড করতে পারেন। Dreamstime-এ আপনি কোনো ডিপোজিট ছাড়াই ফ্রি কনট্রিবিউটর হিসেবে যোগদান করতে পারবেন এবং আপনার ফটোগ্রাফ, গ্রাফিক্স বা ভিডিওগুলো আপলোড করার পর তা ক্রেতাদের জন্য উপলব্ধ হবে।
Dreamstime-এ উপার্জিত অর্থ পেপাল, Payoneer বা অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারেন। সাধারণত $100 পর্যন্ত আয় হলে আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন।
12. 2captcha.com
2Captcha.com একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ক্যাপচা সমাধান করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি মূলত ডেটা এন্ট্রি কাজের মতো, যেখানে আপনাকে বিভিন্ন ক্যাপচা কোড দেখতে হবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে।
এখান থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই সাইটে গিয়ে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সাইন আপ করার পরে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে এবং পেমেন্ট সেটিংস ঠিক করতে হবে।
একাউন্টে লগইন করার পর আপনি ক্যাপচা সমাধান করার জন্য কাজ শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা দেওয়া হবে, যেমন টেক্সট ক্যাপচা, রিক্যাপচা বা ইমেজ ক্যাপচা, যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে।
2Captcha-এ বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা থাকে। সাধারণত, টেক্সট ক্যাপচা দ্রুত সমাধান করা যায়, তবে রিক্যাপচা বা অন্যান্য জটিল ক্যাপচা সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ক্যাপচা সমাধানের জন্য আপনাকে প্রতিটি ক্যাপচা কিভাবে কাজ করে তা ভালোভাবে বুঝতে হবে।
প্রতিটি ক্যাপচা সমাধানের জন্য আপনি সাধারণত $0.001 থেকে $0.005 পর্যন্ত পেতে পারবেন। যদিও এটি খুব বেশি নয়, তবে নিয়মিত এবং দ্রুত কাজ করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
2Captcha-এর রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আপনি অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। অন্যদের 2Captcha-এ যোগদান করতে উৎসাহিত করতে পারেন এবং তারা যেসব ক্যাপচা সমাধান করবে, তার ভিত্তিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কমিশন হিসেবে পাবেন।
যখন আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা হবে (সাধারণত $0.5 থেকে $1), তখন আপনি পেমেন্ট ক্যাশআউট করতে পারেন। PayPal, Payoneer, Bitcoin, এবং অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে আপনি এই পেমেন্ট নিতে পারেন।
কিন্তু, 2Captcha.com-এ ইনকাম করা সম্ভব, তবে এটি সাধারণত ধৈর্য এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ। এটি যাদের হাতে অনেক সময় আছে এবং কোনো দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
টিপস এবং কৌশল:
- ক্যাপচা সমাধানে দ্রুত টাইপ করা শিখতে হবে।
- ভুল টাইপ করা ক্যাপচা আপনার সময় নষ্ট করতে পারে এবং আয় কমাতে পারে, তাই যতটা সম্ভব সঠিকভাবে টাইপ করার চেষ্টা করুন।
- কিছু সময়ে ক্যাপচা বেশি থাকে এবং সেই সময়ে কাজ করলে বেশি আয় হতে পারে।
FAQ’s: ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট:
কোনো বিনিয়োগ বা ডিপোজিট ছাড়াই পার্ট টাইম কাজ করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার কয়েকটি সেরা সাইট হলো Swagbucks, Freecash, ySense, Fiverr, Google AdSense ইত্যাদি।
অবশ্যই, আপনি এক টাকাও ডিপোজিট না করে শুধুমাত্র আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাকে সঠিক প্লাটফর্ম বা সাইট সিলেক্ট করতে হবে।
বিনিয়োগ ছাড়াই বেশি পরিমাণে টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে Google AdSense, Fiverr, Upwork, Freelancer এই সাইটগুলো ব্যবহার করতে হবে।
সর্বশেষ
তাহলে বন্ধুরা, টাকা ডিপোজিট না করেই ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন করার সেরা ওয়েবসাইটগুলোর বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম।
আমি সবগুলো ওয়েবসাইট ব্যবহার করে দেখিনি। তবে ইন্টারনেটে এই সব ওয়েবসাইটের ব্যাপারে সবকিছু রিসার্চ করেই সাইটগুলো আর্টিকেলে অন্তর্ভুক্ত করেছি।
এমনিতেও ইন্টারনেটে ডিপোজিট না করে টাকা ইনকাম করার আরো অনেক সাইট রয়েছে। তবে সবগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে যেগুলো অধিক ভালো এবং যেগুলো ব্যবহার করা আপনাদের জন্য লাভজনক, সেই সাইটগুলোই আজকের আর্টিকেলে আমি শেয়ার করেছি।
ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট এর বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর আর্টিকেল উপহার দেওয়ার জন্য।
টাকা ইনকাম করতে পারব শান্তিতে
কি করতে হবে এখন
Thanks.
Thank you.
আমি করতে চাই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এত ভালো পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Thanks.
ভাই আমি কাজ করতে চাই কিন্তু আমার কোনো কাজ জানা নেই আর ডিপোজিট ও নেই
আমি কাজ করতে চায়।আমার কাছে কোনো ইনভেস্ট নেই।আমি কাজ করার আগ্রহ করছি।
জি আপনার পছন্দমতো যেকোনো সাইটে কাজ করতে পারেন।
জি আপনার পছন্দ মত যে কোনো সাইটে কাজ করতে চাই
আমি কাজ করতে চাই কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া
অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।
আমি কাজ করছি
ধন্যবাদ।
আমি করবো
Nice
Thanks.
আমি কাজ করতে চাই
Ami kaj korte chai
আমি ইনকাম করতে চাই