Home » অনলাইন ইনকাম » মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় – ৩০টি ইনকামের রাস্তা

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় – ৩০টি ইনকামের রাস্তা

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় – বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে ঘরে বসে ইনকাম করাটা নতুন কোনো বিষয় নয়। স্টুডেন্ট, চাকরিজীবী, গৃহিণী, বেকার প্রত্যেকেই আজকাল ঘরে বসে তাদের প্রতিভা বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

যেসব মেয়েরা সংসার ও পরিবারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান, তারা ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের পথ বেছে নিতে পারেন। ছেলেদের পাশাপাশি এখন মেয়েরাও ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করে নিতে পারেন।

আর মেয়েদের ঘরে বসে কাজ করে রোজগার করার সুবিধা হলো, দূরে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে চাকরি বা কাজ করার পরিবর্তে ঘরে বসেই নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো সময় কাজ করা যায়। এতে নারীরা পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে বাড়িতে বসে কাজ করে বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে টাকা আয় করার অনেক সহজ উপায় রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক!

সূচিপত্র: hide

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করতে কি কি প্রয়োজন?

ঘরে বসে লেখালেখি, ফ্রিল্যান্সিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি যেকোনো কাজ করে আয় করতে গেলেই আপনার একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার ডিভাইসে internet connection থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন।

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো স্কিল ডেভেলপমেন্ট (skill development)। কারণ, আপনি যদি লেখালেখি করে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে আপনার লেখালেখি সম্পর্কে অবশ্যই ভালো জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

তবে এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইন উপায়গুলোর পাশাপাশি অফলাইনেও মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায়গুলো উল্লেখ করবো যেগুলোর মাধ্যমে নারীরা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় – অনলাইন মাধ্যম সমূহ

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মেয়েদের অবদান প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে।

ছেলেদের মতো মেয়েরাও বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন। কিন্তু কিছু মেয়ে রয়েছে যারা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করাকে পছন্দ করেন না। তাই এসব মেয়েরা ঘরে বসে রোজগার করার উপায়গুলো খুঁজে থাকেন।

যদি কোনো নারীর অনলাইনে কাজ করার প্রতিভা বা দক্ষতা থাকে তাহলে সেটাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এতে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।

এমনিতে মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক উপায়গুলো আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েশন – মেয়েদের ঘরে বসে আয়

মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়

বর্তমানে অনলাইনে ভিডিও, অডিও কিংবা টেক্সট কনটেন্ট এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোকেরা যেকোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে গুগল, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে সেখানকার কনটেন্টগুলো দেখে সমাধান নিয়ে থাকেন। আবার প্রচুর পরিমাণে লোকেরা বিনোদনমূলক কনটেন্ট অধিক পছন্দ করে থাকেন।

তাই আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ঘরে বসে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের কয়েকটি সেরা উপায় হলো –

১. ব্লগিং

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা আয় করার সবেচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হলো ব্লগিং (blogging)। ব্লগিংকে এক ধরনের বিজনেস (business) বলা যেতে পারে, যেটা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব।

ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমের দিকে পার্ট টাইম ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় এবং ধীরে ধীরে আপনি ব্লগিংকে ফুল টাইম হিসেবে নিতে পারবেন।

একজন ফুল টাইম ব্লগার বা প্রফেশনাল ব্লগার প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করে থাকেন। ব্লগিং একটি দীর্ঘস্থায়ী আয়ের উৎস, যেখানে আপনি কেবল আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ব্লগিং এর মাধ্যমে একবার আপনার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে দিন দিন আপনার ইনকাম এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে। এরপর আপনি যদি কিছুদিনের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দেন তবুও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনাকে একটি অনলাইন ব্লগ তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে গুগল ব্লগারের মাধ্যমে বিনামূল্যে খুব সহজেই নিজের একটি ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি domain এবং hosting ক্রয় করে wordpress দিয়ে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।

অনেকগুলো বিষয় বা টপিক রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনি আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন। যেমন: শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল, টেকনোলজি, খাবার বা রেসিপি, খেলাধুলা ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও মেয়েদের জন্য উপযোগী কিছু ব্লগিং টপিক হলো স্বাস্থ্য বিষয়ক, ফ্যাশন, ট্রাভেল, কসমেটিকস বা সাজসজ্জার জিনিসপত্র ইত্যাদি।

ব্লগে লেখালেখি করতে করতে যখন আপনার ব্লগে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে ভিজিটরস বা লোকেরা আসবে এবং আপনার আর্টিকেলগুলো পড়বে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আর মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার জন্য ব্লগিং একটি পারফেক্ট কাজ। কেননা এটা ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি ফ্রি টাইমে বসে বসে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

২. কনটেন্ট রাইটিং

মেয়েদের অনলাইনে আয় করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক উপায় হলো কনটেন্ট রাইটিং। Content writer-রা ঘরে বসে বিভিন্ন topic এর উপর কনটেন্ট লিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন।

বর্তমানে প্রত্যেকের হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ রয়েছে। অজানা যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে লোকেরা বিভিন্ন search engine গুলোতে প্রচুর পরিমাণে সার্চ করছেন।

যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে সার্চ করার পর সার্চ ইঞ্জিন যে information বা আর্টিকেলগুলো search result এর মধ্যে দেখিয়ে থাকে, এসব informative article বা কনটেন্টগুলো content writer-রা লিখে থাকেন।

ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা ব্লগ রয়েছে যারা কনটেন্ট রাইটারদের কাছ থেকে কনটেন্ট লিখে নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তারা তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে content writing job দিয়ে থাকে, যেটা করে রাইটাররা ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

যদি আপনার যেকোনো একটি বিষয়ের উপর ভালো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সে বিষয়ের উপর আপনি ভালো ভালো article বা content লিখে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করে নিতে পারবেন।

ইংরেজি ভাষার কনটেন্ট এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে আপনি বাংলা ভাষাতেও কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন।

আপনি লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট গুলোতে আর্টিকেল লেখার কাজ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি নিজেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে সেখানে নিজের আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করতে পারবেন এবং একসময় ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Blogger.com এর মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিটেই ফ্রিতে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করা সম্ভব।

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার সবগুলো উপায়ের মধ্যে content writing এর কাজ অধিক সহজ। High quality এবং SEO friendly কনটেন্ট তৈরি করা শিখে নিয়ে মেয়েরা এই কাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৩. ইউটিউব চ্যানেল

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলোর মধ্যে একটি সেরা উপায় হলো ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া। ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় অনেক সহজ। এজন্য আপনার দরকার হবে একটি ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel) এর।

ইউটিউব হলো বিশ্বের সেরা একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। যেকেউ শুধুমাত্র নিজের gmail account দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে নিতে পারেন এবং সেখানে video upload করতে পারেন।

বাংলাদেশে অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যারা কেবল ভিডিও বানিয়ে তাদের চ্যানেল থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজে অর্থ উপার্জন করার জন্য ইউটিউব হলো জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম।

এক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। যেমন মেয়েরা চাইলে রান্নার ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। নতুন নতুন recipe তৈরি করার টিউটোরিয়াল বানাতে পারেন।

বর্তমান সময়ে রান্নাবান্নার টপিকটি লোকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কেননা লোকেরা বিভিন্ন মজাদার খাবার তৈরির নিয়ম জানার জন্য ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে সার্চ করে থাকেন।

তাই আপনি যদি এই টপিকটি নিয়ে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আরও অনেক জনপ্রিয় ইউটিউব ভিডিও টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। যেমন: Educational, music video, funny video, travelling ইত্যাদি।

যখন আপনি ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে থাকবেন, তখন লোকেরা আপনার ভিডিও দেখবে এবং আপনার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে। এভাবে যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবসক্রাইবার হয়ে যাবে এবং ভিডিওতে ভালো views আসা শুরু হবে, তখন আপনার চ্যানেল monetize করিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

মেয়েরা বাড়িতে বসে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর কাজটি করতে পারবেন, তাই মেয়েদের জন্য বাড়িতে বসে আয় করার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মাধ্যম।

৪. ভ্লগিং

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলোর মধ্যে একটি দুর্দান্ত উপায় হলো ভ্লগিং (vlogging)। ব্লগিং এর মাধ্যমে যেমন নিজের পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করা যায়, তেননি ভ্লগিং এর দ্বারা পছন্দের বিষয়গুলো ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়।

ভ্লগিং হলো নিজের মতো করে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাম মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে আপলোড বা শেয়ার করার একটি প্রক্রিয়া।

আর ভ্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো YouTube। আপনি যদি ভ্রমণ (travelling) বা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বা বেড়াতে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনার বেড়াতে যাওয়া স্থানগুলোর ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে সহজে টাকা ইনকাম করার যতগুলো চ্যানেল আইডিয়া রয়েছে তার মধ্যে vlogging সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি আইডিয়া।

বর্তমানে লোকেরা ভ্লগিং ভিডিওগুলো দেখতে অধিক পছন্দ করে থাকেন। আপনি যদি আকর্ষণীয় vlog video বানাতে পারেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে লোকেরা আপনাকে follow বা subscribe করবেন এবং প্রতিনিয়ত আপনার নতুন নতুন ভিডিওগুলো দেখতে থাকবেন।

এভাবে আপনি নিজের পছন্দের জায়গাগুলোতে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দী করে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। বিশ্বজুড়ে অসংখ্য লোকেরা রয়েছেন যারা ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।

ভ্লগিং এর একটি বড় সুবিধা হলো আপনি যদি প্রতিদিন এই কাজের পিছনে দুই থেকে চার ঘন্টা সময় দেন সেটাই যথেষ্ট। ফলে আপনার অন্যান্য কাজের সময় নষ্ট করতে হবে না। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকবে, তখন আপনি প্রতিটি ভ্লগ ভিডিও আপলোড করার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৫. ফেসবুক ভিডিও

বর্তমানে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হলো ফেসবুক। ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও ভিডিও মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন।

ফেসবুকে নিজের ভিডিও কনটেন্ট মনিটাইজেশনের একাধিক উপায় রয়েছে। যেমন – ইন স্ট্রিম অ্যাডস, রিলস মনিটাইজেশন, স্টার প্রোগ্রাম এবং ফ্যান সাবস্ক্রিপশন।

আপনি আপনার ফেসবুক পেইজে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক ইন স্ট্রিম অ্যাডস এর মাধ্যমে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ছোটো আকারের শর্ট ভিডিও বানিয়ে আপনার প্রোফাইল বা পেইজে আপলোড করে রিলস মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

এগুলো ছাড়াও বর্তমানে ফেসবুক স্টার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফেসবুক প্রোফাইল বা পেইজে লাইভ স্ট্রিম করে টাকা রোজগার করা সম্ভব।

৬. লাইভ গেমিং স্ট্রিম

বর্তমানে মেয়েদের জন্য লাইভ গেমিং স্ট্রিমিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় আয়ের উপায়।

আপনি যদি গেম খেলতে ভালোবাসেন এবং বিনোদনমূলক উপস্থাপনা করতে পারেন, তাহলে ঘরে বসে গেমিং স্ট্রিমিং থেকে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

গেমিং করার জন্য আপনি ইউটিউব অথবা ফেসবুক এই দুইটি প্লাটফর্মের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।

আজকাল প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক থেকে টাকা রোজগার করার জন্য গেমিং নিশটি বেছে নিচ্ছেন।

তাছাড়া বর্তমানে অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইউটিউবে চ্যানেলে গেমিং করে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন এবং ইউটিউব থেকে ভালো আয় করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় গেমিং করে আয় করার জন্য আপনাকে জনপ্রিয় ব্যাটেল রয়েল গেম গুলো খেলতে হবে। যেমন: PUBG, Free Fire, Call of Duty ইত্যাদি।

যদি আপনি এইসব গেমে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং চমৎকার গেমপ্লে দর্শকদের উপহার দিতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার চ্যানেল বা পেইজ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

অবশ্যই পড়ুন: কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং – মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায়

বর্তমানে সকলের কাছেই freelancing এর বিষয়টি বেশ পরিচিত। কেননা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাধ্যম।

আজকাল শুধু যে ছেলেরাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে ঘরে বসে ইনকাম করছেন এমনটা নয়। ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের দেশে অনেক মেয়েরা সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করছেন। আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে account তৈরি করতে হবে। এরপর কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ক্লায়েন্ট খুঁজতে হবে। যেকোনো একটি freelancing marketplace এর দ্বারা আপনার freelancing career শুরু করে দিতে পারেন। যেমন: freelancer, fiverr, upword, people per hour ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এ যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো –

১. গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য আপনাকে লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, প্রেজেন্টেশন ডিজাইন ইত্যাদি কাজ ভালোভাবে জানতে হবে।

এই ধরনের কাজগুলো শিখে যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একাউন্ট খুলে ক্লায়েন্টদের গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর অন্তর্ভূক্ত। আজকাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

এই কাজ করার জন্য আপনাকে যেকোনো প্রকারের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ জানতে হবে। যেমন – ই-কমার্স ওয়েবসাইট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ইত্যাদি। ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে হবে। এই কাজ করার জন্য খুব বেশি প্রোগ্রামিং বা কোডিং দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।

আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস এর কাজ ভালোভাবে শিখেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।

৩. কপিরাইটিং

লেখালেখি করা আপনার শখ হয়ে থাকলে মার্কেটপ্লেসে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বায়াররা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট রাইটার খুঁজে থাকেন। আপনি তাদের কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিয়ে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

কপিরাইটিং করে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই SEO-ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা শিখতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে।

৪. ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে ভালো video editing শিখে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। তবে এজন্য প্রথমে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আপনি ঘরে বসেই প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ভিডিও এডিট করতে পারেন। প্রফেশনাল video editing এর কাজ শিখে আপনি বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট যেমন: freelancer.com, fiverr.com-এ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।

শুরুর দিকে ক্লায়েন্ট পেতে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে যখন আপনার এডিটিং এর দক্ষতা বাড়তে থাকতে এবং high quality-র ভিডিও এডিট করতে পারবেন তখন আপনার নতুন ক্লায়েন্ট এর অভাব থাকবে না।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন আছে এরকম লোকদের video editing এর কাজ করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অন্যদের কাজ করা ছাড়াও আপনি নিজের একটি YouTube Channel খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

আজকাল বিভিন্ন এনিমেশন (animation) বা কার্টুন ভিডিও এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই আপনি যদি ভালো এবং unique কার্টুন ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলোতে সাউন্ড বা অডিও যুক্ত করে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন, তাহলে এই ধরনের ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে অল্প সময়ে প্রচুর ভিউস এবং সাবস্ক্রাইবার পেয়ে যাবেন।

এরপর ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। এই কাজের জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

এটিও মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি কাজ যেটার মাধ্যমে মেয়েরা ঘরে বসে তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৫. সোশ্যাল মিডয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে ঘরে বসে আয়ের জন্য একটি দারুণ কাজ। এটি করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো অফিসে যেতে হবে আর এই কাজের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট মানে হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের social media account গুলো পরিচালনা করা। উদাহরণস্বরূপ, নতুন কনটেন্ট পোস্ট করা, ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ করা, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো, ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানো ইত্যাদি।

এই কাজ করার জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো যেমন: Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn, TikTok, YouTube ইত্যাদি অ্যালগরিদম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইনের জন্য Canva বা Adobe Spark-এর মতো সফটওয়্যারে ব্যবহার শিখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে SEO (Search Engine Optimization) এর বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

সব বিষয়ে ধারণা অর্জন করার পর আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer-এর মাধ্যমে কাজ খুঁজতে পারবেন।

৬. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য Android এবং iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করার দারুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মেয়েরা বাড়িতে বসে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে পারবেন। এরপর তারা মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে নিজের মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে প্লে স্টোরে আপলোড করে গুগল এডমব এর মাধ্যমে ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন।

ই-কমার্স ব্যবসা – মেয়েদের ঘরে বসে আয়

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়

আজকাল লোকেরা বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র না কিনে বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার করতে পছন্দ করে থাকে। এ কারণে ই-কমার্স ব্যবসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

মহিলারাও ঘরে বসে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং কৌশল ভালোভাবে জানতে হবে। ব্যবসার মার্কেটিং করতে না পারলে ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে আয় করা কঠিন হয়ে যাবে।

ইকমার্স থেকে আয় করার উপায়গুলো হলো –

১. এফিলিয়েট মার্কেটিং

ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে আয় করা যায়।

এজন্য আপনাকে যেকোনো একটি ইকমার্স সাইটের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই লিংক আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে শেয়ার করতে হবে।

তারপর আপনার শেয়ার করা লিংকের মাধ্যমে যত পণ্য বিক্রি হবে সে অনুযায়ী আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে অথবা আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে।

২. ড্রপশিপিং

বর্তমানে ইকমার্স থেকে কোনো ধরনের ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম করার একটি অন্যতম উপায় হলো ড্রপশিপিং। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজে প্রোডাক্ট উৎপাদন করতে হবে না এবং বিনিয়োগেরও দরকার হবে না।

ড্রপশিপিং এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র একটি অনলাইন স্টোর বা অনলাইন দোকান তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পণ্যগুলো সাজিয়ে রাখতে পারেন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মেও অনলাইন দোকান বানাতে পারেন।

এরপর লোকেরা আপনার কাছে পণ্য অর্ডার করলে অন্য ইকমার্স কোম্পানি থেকে কাস্টমারের জন্য প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারবেন। এভাবে আপনি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারবেন।

৩. অনলাইন দোকান

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আপনি নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ তৈরি করে সেখানে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

বইসহ বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য আপনি বিক্রি করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশলগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে কিভাবে ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেইজে র‍্যাংক করানো যায় সেই টেকনিক জানতে হবে।

অনেক মেয়েরা এই উপায়ে বাড়িতে বসে টাকা রোজগার করছেন। মার্কেটিং এর বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকলে এই পদ্ধতিতে আয় করা কঠিন।

৪. ফেসবুক গ্রুপ

আজকাল প্রত্যেকেই ফেসবুকে ভিডিও দেখে কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে chatting করে প্রচুর সময় নষ্ট করে থাকেন। ফেসবুকে এসব কাজে সময় ব্যয় না করে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে অনেক মেয়েরাই ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে অনেক বড় আকারের community তৈরি করছেন। আপনিও সুন্দর নাম দিয়ে একটি facebook group তৈরি করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে গ্রুপটি বড় করে তুলতে পারেন।

মনে রাখবেন, একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা আয় করতে হলে গ্রুপে অনেক members থাকতে হবে। যদি আপনি ১০ হাজার বা এর বেশি সংখ্যক member এর একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন তাহলে এখান থেকে একাধিক উপায়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার ফেসবুক গ্রুপকে বড় করার জন্য আপনার facebook friend দের invite করতে পারেন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধবদের বলতে পারেন অন্যেদের invite পাঠাতে। এভাবে যখন হাজার হাজার লোকেরা আপনার গ্রুপে যুক্ত হয়ে যাবে তখন এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ই-কমার্স পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।

একটি বড় আকারের ফেসবুক গ্রুপ বা পেজের মাধ্যমে কোন e-commerce কোম্পানির product বিক্রি করে কমিশন (Comission) এর মাধ্যমে ইনকাম করা খুবই সহজ। এই প্রক্রিয়াটি হলো affiliate marketing

এভাবে ছেলেদের মতো মেয়েরাও চাইলে ফেসবুকে নিজের একটি বিশাল কমিউনিটি বানিয়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট বিক্রি – মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সহজ উপায়

অনলাইনে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ওয়েবসাইট বিক্রি

ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে আয় করাটা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি।

কেননা এতে আপনি ওয়েবসাইটে পার্ট টাইম সময় দিয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

স্বল্প ইনভেস্ট করে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এরপর ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে আপনাকে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে হবে।

এজন্য আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ৪০ থেকে ৫০ টি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। যখন আপনি গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাবেন তখন সেই ওয়েবসাইট বিক্রি করে সহজেই ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর একটি ভালো ট্রাফিক বা ভিজিটরস থাকা ওয়েবসাইট এর থেকেও অনেক বেশি দামে বিক্রয় করা সম্ভব।

বর্তমানে এই ধরনের ওয়েবসাইটের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তাই মেয়েরা চাইলে ওয়েবসাইট বা ব্লগের যাবতীয় কাজগুলো শিখে নিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার অফলাইন উপায় সমূহ

অনলাইন এবং ইন্টারনেটের বিষয়ে ভালো ধারণা না থাকলে মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করার অফলাইন উপায়গুলো বেছে নিতে পারেন। এইসব উপায়ে ঘরে বসে উপার্জন করার জন্য সামান্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, তবে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের অবসর সময়ে বাড়িতে বসে কাজ করে ইনকাম করার জন্য কোন কোন উপায়গুলো রয়েছে।

শিক্ষাদান – মেয়েদের ঘরে বসে আয়

মেয়েরা কিভাবে ঘরে বসে আয় করতে পারবে

মেয়েরা বাড়িতে বসে ছাত্রছাত্রীদের টিউশনি করে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও বাড়িতে মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে আয় করতে পারেন।

১. ছাত্রছাত্রীদের টিউশনি করিয়ে আয়

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার জন্য আরেকটি সেরা উপায় হলো home tutor হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের শেখানো।

আজকাল অভিভাবকরা বাসায় তাদের সন্তানদের জন্য হোম টিউটর রাখার ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এভাবে মেয়েরা নিজ বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশেপাশে বাচ্চাদের পড়ানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

তাই আপনি যদি একজন ব্রিলিয়ান্ট হয়ে থাকেন এবং ছেলেমেয়েরা পড়াতে পছন্দ করেন তাহলে আপনিও হোম টিউটর এর দায়িত্ব পালন করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে বাসার বাইরেও যেতে হবেনা, আবার বাসায় বসে বাচ্চাদের পড়িয়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবেন।

বর্তমানে একটা স্টুডেন্টকে বাসায় পড়ানোর জন্য মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। এভাবে আপনি যদি ৫ জন স্টুডেন্টকেও পড়ান, তাহলে প্রতি মাসে ১০ হাজার এর বেশি টাকা অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন।

তাই বাড়িতে বসে ইনকাম করার জন্য আপনি হোম টিউশনের কাজটিকে বেছে নিতে পারেন। এই উপায়ে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন

২. অনলাইন কোর্স তৈরি

মহিলারা চাইলে বাড়িতে বসে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করে টাকা রোজগার করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কাপড় সেলাইয়ের কাজ ভালো জানেন তাহলে এই বিষয়ে কোর্স তৈরি করতে পারেন।

যাদের পক্ষে আপনার বাড়িতে গিয়ে দর্জির কাজ শেখা সম্ভব নয়, তারা অনলাইনের মাধ্যমে আপনার কোর্স করে কাজ শিখতে পারবে। আর এতে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কোর্স ফি নিতে পারবেন।

৩. মহিলাদের জন্য কোচিং

আপনার কেক, পিঠা, বিভিন্ন রেসিপি ইত্যাদি তৈরির ভালো দক্ষতা থাকলে নিজের বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন। মহিলাদের এই ধরনের কাজ শেখার প্রচুর আগ্রহ থাকে, তাই খুব সহজেই পর্যাপ্ত লোক পেয়ে যাবেন শেখানোর জন্য। এই কাজ আপনি বাড়িতে বসেই পরিচালনা করতে পারবেন।

হোম মেইড সার্ভিস – মেয়েদের ঘরে বসে হাতের কাজ করে আয়

নারীদের হোম মেইড সার্ভিস সমূহ

গৃহিণীদের ঘরে বসে হাতের কাজ করে টাকা রোজগারের অন্যতম উপায়গুলো হলো –

১. টিফিন সার্ভিস (Tiffin service)

আপনি যদি একজন রান্নায় পারদর্শী (expert) হয়ে থাকেন এবং মজাদার রান্না করতে পারেন তাহলে tiffin service এর কাজটি আপনার জন্য বাড়িতে বসে রোজগার করার দুর্দান্ত উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

বর্তমান সময়ে শহরে অনেক চাকরিজীবি মানুষ রয়েছেন যারা বাসায় নিয়মিত খাবার তৈরি করার সময় পান না এবং রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে থাকেন। এসব লোকেরা টিফিন ব্যবসায়ী লোকদের খুঁজে থাকেন যারা তাদের বাড়িতে প্রতিদিনের খাবার পৌঁছে দিতে পারবে।

তাই আপনি নিজের একটি home delevary ভিত্তিক টিফিন সার্ভিস business শুরু করতে পারেন। মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় হিসেবে টিফিন সার্ভিস ব্যবসা অধিক লাভজনক হতে পারে।

বাড়ির দৈনন্দিন কাজকর্ম শেষ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করাটা আপনার পক্ষে প্রথমের দিকে কষ্টকর হতে পারে। কিন্তু time management এর বিষয়ে যখন আপনার সঠিক ধারণা চলে আসবে তখন খুবই সহজ এবং সাবলীলভাবে আপনি এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।

২. বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম করুন

বর্তমান সময়ের নারীদের বিউটি পার্লার থেকে সাজ নেয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে বিউটি পার্লারের সাজ নেওয়াটাও একটা কাজ।

ঘরে বসেও রূপচর্চা করা যায় কিন্তু রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিউটি পার্লারসমূহ নিয়ে এসেছে অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি যা সবার মন কেড়েছে এবং প্রত্যেক মেয়েরা এখান থেকে বিউটি ট্রিটমেন্ট করতে অধিক আগ্রহী হয়ে থাকেন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিউটি পার্লার বাসা বাড়িতেই হয়ে থাকে। বর্তমান মেয়েদের রূপচর্চার এই চাহিদাকে ফোকাস করে মেয়েরা বিউটি পার্লার খুলে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বিউটি পার্লার এর এই ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে খুব বেশি ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে বিউটি পার্লার ডেকোরেশন করতে আপনাকে একটু বেশি খরচ করতে হবে।

আপনি চাইলে বাড়ির আলাদা একটা রুমে ডেকোরেশন করে বানিয়ে নিতে পারেন বিউটি পার্লার। এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মেকআপ টেবিল, চেয়ার, আয়না এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাজসজ্জার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি যেমন: হেয়ার স্পা মেশিন, হেয়ার রিকভারি মেশিন, ফেসিয়াল মেশিন, হেয়ার হিটার ইত্যাদি লাগবে। এছাড়াও অনেক ভালো মানের কসমেটিকস এর জিনিসপত্র আপনাকে কিনতে হবে।

তবে একটি বিউটি পার্লার খুলে বসে থাকলে এমনি এমনি আপনি কাস্টমার পাবেন না। কাস্টমার পাওয়ার জন্য আপনাকে এক্সট্রা কিছু কাজ করতে হবে। যেমন: বাজারে কিংবা রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় advertisements লাগাতে হবে, যাতে লোকেরা আপনার বিউটি পার্লারের বিষয়ে জানতে পারেন।

এছাড়াও আপনার কাজের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন যাতে করে আপনার অধিক কাস্টমার পাওয়ার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া আপনি যদি ভালো বিউটি সার্ভিস দিতে পারেন এবং সকলের কাছে পরিচিতি অর্জন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ পেতে পারবেন।

এভাবে আপনি ঘরে বসেই বিউটি পার্লার ব্যবসার মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪. দর্জির কাজ

মেয়েদের ঘরে বসে টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে দর্জি বা সেলাই কাজ। আজকাল সব জায়গায় সেলাই কাজের প্রচুর চাহিদা লক্ষ্য করা যায়।

তাই আপনি যদি দর্জি কাজ করে আগ্রহী থাকেন এবং এই কাজ সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

দর্জি কাজও কারিগরি কাজের আওতাভুক্ত এবং এর দ্বারা মেয়েরা নিজের ঘরের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নিতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন জায়গায় দর্জি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি দর্জি কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য ইনভেস্ট করতে হবে। কারণ, এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো আপনাকে ক্রয় করতে হবে। যেমন: সেলাই মেশিন।

দর্জি কাজ শিখে গেলে একদিকে আপনি অন্যের জামাকাপড় সেলাই করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন এবং অন্যদিনে নিজের জামাকাপড় সেলাই করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের খরচ করতে হবে না।

তাই মেয়েরা ঘরে বসে হাতের কাজ করে করতে চাইলে এই কাজটিকে নির্বাচন করতে পারেন।

৫. বেকারি ব্যবসা

আপনি যদি বিভিন্ন বেকারি খাদ্যদ্রব্যগুলো তৈরি করতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি বাড়িতে বসে বেকারি বিজনেস শুরু করতে পারেন এবং লোকদের কাছ থেকে অর্ডার নিতে পারেন।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য লোকেরা বাড়িতে বানানো কেক এবং অন্যান্য জিনিসগুলো অর্ডার করতে পছন্দ করেন।

তাই আপনি একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খুলে সেখানে কাস্টমারদের থেকে অর্ডার নিতে পারবেন এবং পণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারবেন।

এভাবে মেয়েরা বিভিন্ন বেকারি পণ্যগুলো তৈরি এবং হোম ডেলিভারি করার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও বর্তমানে কোন ব্যবসা সবচেয়ে বেশি লাভজনক তা জেনে নিয়ে আপনি যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করতে পারেন।

গৃহিণীদের ঘরে বসে ইনকামের কৃষিভিত্তিক উপায়

মহিলাদের বাড়িতে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়

গ্রামের মহিলাদের ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকে টাকা ইনকামের জন্য কৃষিভিত্তিক ইনকামের আইডিয়াগুলো অধিক লাভজনক। মহিলাদের ঘরে বসে রোজগারের কয়েকটি জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক আইডিয়া হলো –

১. গৃহপালিত পশুপাখি পালন

বর্তমানে গ্রাম কিংবা শহরের প্রচুরসংখ্যক মেয়েরা গৃহপালিত পশুপাখি পালনের মাধ্যমে বাড়িতে বসে ইনকাম করছেন।

আপনি যদি একজন মেয়ে হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে চান তাহলে গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে তাদের দুধ, ডিম বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন, আজকাল শহর এবং গ্রামের অনেক মহিলা বা মেয়েরা বিভিন্ন গৃহপালিত পশু যেমন: গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, কবুতর ইত্যাদির খামার করে সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন।

তাই আপনিও ভালো জাতের গৃহপালিত পশুপাখি ক্রয় করে সঠিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে বাড়িতে বসে ইনকামের একটি ব্যবস্থা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে না।

২. বাগান তৈরি

বাংলাদেশে অনেক পরিবার রয়েছে যারা তাদের বসত বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন শাক, সবজি অথবা ফলের বাগান তৈরি করে আয় করছেন।

এতে নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সেগুলো বাজারে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলোর মধ্যে বাগান তৈরি করা একটি লাভজনক ব্যবসা যা মেয়েদের শখের উপর নির্ভর করে। বাসার ছাদে, বারান্দায় কিংবা আশেপাশে কোন খোলা জায়গায় একটি বাগান গড়ে তুলে সেখান থেকে মেয়েরা বাড়তে আয় করতে পারবেন।

অনলাইন শপিং কমপ্লেক্স কিংবা কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের বীজ অর্ডার করতে পারেন। জমিতে পরিমাণমতো বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি প্রয়োগ করে মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন।

এরপর নিজের বাগানে টাটকা, শাক-সবজি এবং ফলমূল জন্মাতে পারবেন। এতে করে বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এগুলো বিক্রি করে অর্থ আয় করতে পারবেন।

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়: FAQ’s

১. মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায়গুলো কি কি?

ঘরে বসে রোজগার করা যাবে মেয়েদের জন্য এরকম কয়েকটি সেরা উপায় হলো: অনলাইন কাজসমূহ – কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ভ্লগিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। অফলাইন কাজসমূহ – বিউটি পার্লার ব্যবসা, সেলাইয়ের কাজ, বেকারি ব্যবসা, টিফিন সার্ভিস, বাগান করা ইত্যাদি।

২. মেয়েরা কিভাবে ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করতে পারবেন?

মেয়েদের ঘরে বসে হাতে লিখে আয় ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হলো ব্লগিং এবং আর্টিকেল রাইটিং।

৩. ঘরে বসে আয় শুরু করতে কি বিনিয়োগ প্রয়োজন?

কিছু কাজ বিনিয়োগ ছাড়াই শুরু করা যায়। যেমন: ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট।তবে কিছু ক্ষেত্রে সামান্য বিনিয়োগ প্রয়োজন হতে পারে। যেমন: ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ভালো ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন, ই-কমার্স ব্যবসার জন্য পণ্য তৈরির খরচ ইত্যাদি।

৪. ইনভেস্ট ছাড়া মেয়েদের ঘরে বসে ব্যবসাগুলো কি কি?

অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোন কাজ করতে হলে সামান্য ইনভেস্ট অবশ্যই করতে হবে। তবে আর্টিকেলে উল্লিখিত কাজ বা ব্যবসাগুলো স্বল্প ইনভেস্টমেন্ট এ শুরু করা যাবে।

৫. গৃহিণী হয়ে কিভাবে আয় করা যায়?

গৃহিণী মহিলাদের ঘরে বসে টাকা আয় করার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপায় হলো ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ, ভিডিও এডিটিং, সেলাইয়ের কাজ ইত্যাদি।

আমাদের শেষ কথা

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলো কি কি অথবা কোন কোন উপায়ে মেয়েরা ঘরে বসে রোজগার করতে পারবে এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আর্টিকেলে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার জন্য ১৫ টি উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করার হয়েছে, যেগুলোর দ্বারা মেয়েরা খুব সহজেই নিত্যদিনের কাজের পাশাপাশি ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও মেয়েরা পড়ালেখার পাশাপাশি টাকা রোজগার করতে চাইলে content writing, blogging, video editing এইসব কাজগুলো খুব সহজেই part-time করতে পারবেন।

তাহলে আশা করি মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।

আর আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়ার অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে অন্যরা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

অবশ্যই পড়ুন:

Similar Posts

15 Comments

  1. ঘরে বসেই মেয়েরা আয় করতে পারেন। অনেকগুলো সুন্দর উপায় এই পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে। আমার মনে হয়, ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

  2. এত সুন্দর একটি আর্টিকেল শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *