মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার দুর্দান্ত উপায় গুলো – (সেরা ১২টি)
আপনি কি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত না যে, কিভাবে এবং কোথা থেকে কাজ শুরু করবেন?
তাহলে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
অনলাইনের মাধ্যমে, অফলাইনের মাধ্যমে অথবা বাড়িতে বসে কিভাবে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন – এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ গাইডলাইন এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দিতে চলেছি।
কিভাবে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যেতে পারে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কিভাবে ঘরে বসে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়?
Ways to Earn 20 Thousand Taka Per Month – বন্ধুরা, বলতে গেলে কোন ধরনের চাকরি বা ব্যবসা করা ছাড়া বর্তমান সময়ে মাসে ২০ টাকা কিংবা ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করা যে কারো পক্ষে তেমন একটা সহজ কথা নয়।
তবে, আপনি যদি মাসে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে থাকেন, তাহলে আপনি খুব কম সময়ে অনেকগুলো উপায় পেয়ে যাবেন।
যার জন্য আপনাকে কোন job বা চাকরি পেতে হবে না।
এমনিতে অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে আগের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করেছি।
তবে, প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করার জন্য কিছু স্মার্ট উপায় বা আইডিয়া থাকলেও সেসব কাজ সঠিকভাবে করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারাটা আজকাল একটা বড় challenge হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর কারণ কী? কারণ হলো –
আমাদের দেশে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর কোন ধরনের চাকরি বা ব্যবসা না করে বেকার বসে রয়েছে এরকম মানুষের সংখ্যা বর্তমানে প্রচুর রয়েছে।
আর, বেকারত্ব হলো একটি দেশ এবং জাতির জন্য বড় অভিশাপ। তাই বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণের জন্য বর্তমানে মানুষ টাকা আয় করার লক্ষ্য নিয়ে অনলাইন বা ইন্টারনেটের কাজের প্রতি ঝুকে পড়ছে।
আপনি কি এটি জানেন? বাস্তবে যতগুলো কাজ রয়েছে, যেগুলো করার মাধ্যমে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে, অনলাইনেও এরকম প্রচুর কাজ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে যে বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রযুক্তিগত দক্ষতা।
আপনার জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি মাসে শুধুমাত্র ২০ হাজার টাকা নয়, আপনি এর চেয়ে দ্বিগুণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার জন্য কিসের প্রয়োজন?
মনে রাখবেন, বর্তমানে যেকোনো কাজ করতে গেলেই অথবা যেকোনো কাজে সফলতা পেতে চাইলে প্রচুর competition বা প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে।
নিচে আমি আপনাদের মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলোর বিষয়ে বলে দিবো – এগুলোর মাধ্যমে আপনি ডিপোজিট ছাড়াই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রত্যেকেই এসব কাজের প্রতি দিন দিন অনেক আগ্রহ প্রকাশ করছে।যার কারণে এসব কর্মক্ষেত্রে (platform) প্রচুর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, যারা সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নিজের জ্ঞান এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর সংখ্যক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, তারাই কেবল এসব কাজের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবে।
এখন আপনি হয়তো এই প্রশ্নটি করতে পারেন যে,
বাংলাদেশে কি এরকম কোন উপায় আছে? যার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে?
এর উত্তর হলো, হ্যাঁ। এরকম উপায় অবশ্যই আছে।
আর বাংলাদেশে এমন অনেক অনলাইন উপার্জনকারী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা শুধু ৩০ হাজার কিংবা ৫০ হাজার নয়, মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন।
আপনাদের একটি কথা বলে দিচ্ছি,
আমি নিচে টাকা ইনকাম করার যেসব উপায় আলোচনা করবো – এগুলোর অধিকাংশই অনলাইন ভিত্তিক।
আর এসব কাজ করার জন্য কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন (internet connection) অবশ্যই থাকতে হবে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কাজ করে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে?
প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ১২টি উপায়
আপনি অবশ্যই এটা জানেন যে, একটি ভালো আয়ের উৎস আপনার জীবনে অনেক সুবিধা তৈরি করে দিতে পারে।
কেননা অর্থ (money) আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। সকলের কাছে এর গুরুত্ব সর্বাধিক।
তাই, আপনি যদি graduation complete করার পর এমনি এমনি বসে দিন কাটাচ্ছেন, কোন চাকরি বা ব্যবসা কররে পারছেন না, তাহলে নিচে উল্লেখিত উওয়ায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
তাহলে চলুন এই বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিই, কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যাবে?
1. ব্লগিং করে আয় করুন
বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হলো ব্লগিং (Blogging)।
এই কাজের জন্য আপনার বিশেষ কোন ডিগ্রি (degree) অর্জনের প্রয়োজন নেই। ব্লগিং হলো এমন একটি কাজ বা পেশা (profession) যার মাধ্যমে লোকেরা প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।
Blogging শুধুমাত্র একটি কাজ নয়। এটা হলো এক প্রকারের ব্যাবসা (business)।
যেটিতে একবার সফলতা অর্জন করতে পারলে আপনার টাকা আয়ের জন্য আর অন্য কোন পথ (way) খুঁজতে হবে না। যেকোন বয়সের মানুষই ব্লগিং করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আপনি চাইলে একজন part time অথবা একজন full time ব্লগার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
যদি আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ (laptop) বা কম্পিউটার (computer) থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে ব্লগিং এর কাজ করার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজর টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি চাইলে মোবাইল ফোন (smartphone) দিয়েও এই কাজটি করতে পারবেন। তবে এই কাজের জন্য আপনার ইন্টারনেট কানেকশন দ্রুত হতে হবে।
ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার স্টেপগুলো –
- প্রথমে আপনাকে একটি অনলাইন ব্লগ তৈরি করে নিতে হবে।
- আপনি Blogspot.com অথবা WordPress.com ব্যবহার করে সহজে এবং ফ্রীতে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
- ব্লগে High Quality বা ভালো মানের কনটেন্ট publish করতে হবে।
- আপনার লিখা কনটেন্ট বা আর্টিকেল অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি (SEO Friendly) হতে হবে।
- ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে submit করতে হবে।
- শেষে, আপনার ব্লগকে গুগল এডসেন্স (Google Adsense) এর দ্বারা মনিটাইজ (monetize) করাতে হবে।
- আর এর মাধ্যমে আপনি ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
মোট কথা, অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার ব্লগে অবশ্যই ভালো পরিমাণ Search Engine থেকে traffic বা Visitors আসতে হবে।
আর মনে রাখবেন, Blogging করার জন্য আপনার technology বিষয়ে অনেক ভালো দক্ষতা থাকতে হবে এবং SEO optimized আর্টিকেল লেখার ধারণা থাকতে হবে।
2. ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন
আপনি যদি প্রতি মাসে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে ইউটিউব আপনার জন্য সেরা online earning platform হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
কেননা, YouTube হলো এমন একটি platform, সেখানে ভিডিও শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
আপনার যদি সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানানোর শখ থাকে, তাহলে আপনি এই শখকে টাকা ইনকামে রূপান্তর করতে পারেন Youtube প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে।
আমরা অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবারের নাম শুনে থাকি, যারা কেবল ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
তবে, তারা এই সফলতা একদিনেই অর্জন করতে সক্ষম হননি, এর জন্য তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
যেকোনো ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব প্লাটফর্মে আপলোড করাটা অনেক সহজ মনে হলেও, একজন সফল ইউটিউবার হয়ে ওঠা অথবা ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা তেমন একটা সহজ বিষয় নয়।
তবে আপনি যদি attractive video content দর্শকদের উপহার দিতে পারেন এবং আপনার দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন, তাহলে এর মাধ্যমে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন।
মনে রাখবেন,
Blogging কিংবা Youtubing যেটাই বলুন না কেন, এসব কাজের জন্য আপনার মধ্যে অবশ্যই সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করার স্টেপগুলো –
- প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।
- ইউটিউব চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করতে হবে। (ভিডিও অবশ্যই নিজের বানানো হতে হবে, Copyright video কখোনই ব্যবহার করা যাবে না।)
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করাতে হবে। (মনিটাইজ করানোর জন্য আপনার চ্যানেলে ১০০০ subscriber এবং ৪০০০ ঘন্টা watch time থাকা আবশ্যক)
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু হলে ভিডিওতে advertisements দেখানোর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আপনি শুধুমাত্র vlog video বানানোর মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এর মানে হলো, নিজের দৈনন্দিন কাজকর্ম বা লাইফস্টাইল নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। যেগুলোতে প্রচুর ভিউস পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া কিছু জনপ্রিয় ইউটিউব ভিডিও টপিক হলো, technology related, news, blogging, motivational video, smartphone review, recipe making video, tutorial video, funny video, cartoon video ইত্যাদি।
3. এসইও এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করুন
এই কাজটি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট এবং ওয়েবসাইট ভিত্তিক একটি কাজ।
যদিও এই কাজের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিযোগিতা (competition) রয়েছে, তবুও যেকোন আগ্রহী ব্যক্তি একজন SEO Expert হিসেবে কাজ করে মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তবে এই সেক্টরে কাজ সফলভাবে কাজ করতে হলে নিজেকে একজন এসইও এক্সপার্ট বা Search Engine Optimisation Expert হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং SEO সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ বা technic গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা এবং অভিজ্ঞতা (experience) থাকতে হবে।
বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট বা ব্লগ নিয়ে কাজ করেন, এরকম মানুষের সংখ্যা প্রচুর রয়েছে এবং দিন দিন এর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর একটি ওয়েবসাইটের মূল উদ্দ্যেশ্য হলো ট্রাফিক বা ডিজিটরস। তাই প্রত্যেক ওয়েবসাইট owner-রাই চাইছেন নিজের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের টপ পজিশনে rank করাতে।
তাই এক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিযোগীতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এত বেশি প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগিতা করে যাদের ওয়েবসাইট গুগলের টপ পজিশনে দেখানো হচ্ছে তারাই হচ্ছেন মূলত এসইও এক্সপার্ট।
তাদের SEO সম্পর্কে ভালো ধারণা বা জ্ঞান আছে, এ কারণেই তারা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমের দিকে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রচুর ট্রাফিক পাচ্ছেন।
আর অনেক website owner তাদের ওয়েবসাইটের SEO করার জন্য SEO expert এর খোঁজ করে থাকেন। তাই আপনি এই কাজটি করে প্রতিমাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।
SEO এর কাজ করতে আপনাকে যা যা করতে হবে –
- Search Engine Optimisation এর সকল কাজ ভালোভাবে শিখে নিতে হবে।
- নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকতে হবে, সেই ব্লগের এসইও করার মাধ্যমে গুগলের টপ পজিশনে নিয়ে আসতে হবে এবং কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
- বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট করতে হবে, এরপর আপনি এসইও এর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
4. কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করুন
বর্তমানে ঘরে বসে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য কনটেন্ট রাইটিং একটি সেরা অপশন।
কেননা যেকোনো বয়স এবং পেশার মানুষ এই কাজটি করে রোজগার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কনটেন্ট লেখার অনেক ভালো কৌশল থাকতে হয়।
কারণ কনটেন্ট রাইটিং এর কাজটি সম্পুর্ণ একজন রাইটারের লিখন শৈলির উপর নির্ভর করে থাকে।
একজন কনটেন্ট রাইটার সবসময় রিডারদের সন্তুষ্ট করার জন্য কনটেন্ট লিখে থাকে।
তারা যে বিষয়ে একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল তৈরি করে থাকেন, সেই টপিকের সাথে জড়িত সকল বিষয় আর্টিকেলের সাথে সংযুক্ত করেন।
ফলে রিডাররা কেবল একটি আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে তারা যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সে বিষয়ে সকল তথ্য পেয়ে যেতে পারেন।
এখন কথা হলো, কনটেন্ট রাইটার কারা এবং এই কাজটি কিভাবে এবং কোথায় করতে হয়?
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে প্রত্যেক মানুষই যেকো্নো বিষয়ে জানার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করে থাকেন।
এরপর গুগল সেই search query এর সাথে সম্পর্কিত ফলাফলগুলো প্রদর্শন করে থাকে।
গুগল সার্চ রেজাল্টে যেসকল ফলাফল গুগল প্রদর্শন করে থাকে বা আমরা গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে যে সব তথ্য পেয়ে থাকি, এই তথ্যগুলো গুগলের নিজস্ব নয়।
এই তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট আকারে লিখা হয়, সেই কনন্টেন্ট গুগলের ডাটাবেজে index করা থাকে, এরপর গুগলে সার্চ করলে গুগল সেই ইন্ডেক্স করা ফলাফল লোকদেরকে দেখিয়ে থাকে।
আর ওয়েবসাইট গুলোতে যারা বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ কনটেন্ট লিখে থাকেন, তারা হলেন কনটেন্ট রাইটার।
তাই যেকোনো আগ্রহী ব্যক্তি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে ভালো skill বা জ্ঞান থাকতে হবে এবং অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখতে হবে।
এই কাজটি আপনি পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম করার মাধ্যমে ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটারদের থেকে তাদের ওয়বেসাইটে কনটেন্ট লিখে নিয়ে থাকে এবং এর বিনিময়ে একজন রাইটার ভালো পরিমাণে ইনকাম করে থাকেন।
রিলেটেড আর্টিকেল: অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার সেরা ১২টি ওয়েবসাইট
কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে –
- SEO friendly কনটেন্ট কেখার কৌশলগুলো জানতে হবে।
- কনটেন্টে অবশ্যই নির্দিষ্ট টপিকের সাথে জড়িত সকল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ওউনারদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের জানাতে হবে, আপনি তার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখতে চান।
- আপনি যেকোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করেও কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পেতে পারেন।
5. অনলাইন টিচিং করে আয় করুন
আপনি যদি পড়াশোনার বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকেন,
তাহলে আপনি এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা রোজগার করতে পারেন।
কারণ বর্তমান সময়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস করতে অধিক সাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। এতে তারা বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
তাই আপনি অনলাইন টিচিং এর কাজ শুরু করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারবেন।
অনলাইন ক্লাস করানোর মাধ্যমে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একজন দক্ষ অনলাইন শিক্ষক হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় ভালো ইন্টারনেট সংযোগ, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং সঠিক যোগাযোগের দক্ষতা।
এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য আপনাকে তেমন বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবেনা পাশাপাশি আপনি ঘরে বসে বিনা বাধায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে, যেখানে মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আপনি চাইলে সেসব Online Education Platform এর সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং online teaching এর কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
6. প্রোগ্রামার বা কোডার হিসেবে কাজ করুন
Programming বা coding করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এর জন্য আপনার কিছু দক্ষতা, ধৈর্য এবং সময় দিতে হবে।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদিতে ছোট ছোট প্রোগ্রামিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। শুরুতে ছোট এবং সহজ কাজ বেছে নিতে পারেন।
যখন আপনি বেশ কিছু প্রজেক্ট সম্পন্ন করবেন এবং ক্লায়েন্টরা আপনাকে ভালো রেটিং দিবে তখন ধীরে ধীরে আপনি বেশি কাজ পেতে পারবেন এবং আপনার ইনকামের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে ছোট প্রজেক্ট করতে পারেন। এগুলো শেখা তুলনামূলক সহজ এবং মার্কেটে চাহিদাও অনেক।
অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান, দোকান বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
যদি আপনার ভালো প্রোগ্রামিং দক্ষতা থাকে, তাহলে ব্লগ বা ইউটিউবে প্রোগ্রামিং শেখানোর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এ ধরনের কনটেন্ট থেকেও ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।
7. ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করে আয় করুন
বর্তমান সময়ে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন যে, অন্য সকল কাজের চেয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
যদি কথা আসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কোন একটি কাজ করার, তাহলে সকলেই আগে যে কাজের বিষয়ে ভেবে থাকেন সেটি হলো ওয়েব ডিজাইন।
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে ধরুন, আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি। এই সব ওয়েবসাইট অবশ্যই কেউ না কেউ তৈরি করেছেন কিংবা ডিজাইন করেছেন, যেসকল মানুষের দ্বারা এই ওয়বেসাইটগুলো ডিজাইন করা হয়েছে, তাদের বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার।
আজকাল একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের প্রচুর রয়েছে। আপনি হয়তো শুনলে অবাক হবেন যে, একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার প্রতি ঘন্টায় অনেক ডলার ইনকাম করে থাকেন।
যদি আপনি এই কাজ সঠিকভাবে শিখতে পারেন এবং সফলতা অর্জন করতে পারেন তাহলে বাড়িতে বসে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
8. ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করুন
দেখুন, বর্তমানে সব ধরনের বিজনেস বা ব্যবসা অনলাইন নির্ভর হয়ে গিয়েছে।
আর যেকোন ব্যবসা শুরু করার পর তার মার্কেটিং করা অবশ্যই প্রয়োজন।
এজন্য আজকাল যেকোন কোম্পানি তাদের ব্যবসার মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে গতানুগতিক মার্কেটিং প্রক্রিয়ার থেকে অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিংকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
কেননা, বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে সবসময় হাজার হাজার মানুষ সক্রিয় থাকেন।
সেসব মানুষদের নিকট সহজেই কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রোমোশন করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
আর একটি কোম্পানি বা ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অধিক লাভজনক।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মূলত কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়। প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন লক্ষবস্তু গ্রাহকদের নিকট দেখানো হয়ে থাকে, তা দেখে আগ্রহী ক্রেতারা সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় থাকেন।
আপনি যদি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পুর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
যেহেতু বর্তমানে সকল জনপ্রিয় কিংবা নতুন কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন, তাই বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা প্রচুর রয়েছে।
কেননা প্রত্যেক কোম্পানি তাদের ব্যবসার মার্কেটিং এবং প্রোডাক্ট সেল করার জন্য এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করতে চান।
তাই আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং এর কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে এজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল কৌশল ভালোভাবে আয়ত্ব করতে হবে এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
9. ভিডিও এডিটিং করে আয় করুন
আজকাল যেহেতু অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে সকল কোম্পানি তাদের ব্যবসা সম্পর্কে মানুষদের জানিয়ে দিচ্ছেন,
তাই তাদের কোম্পানির এই ধরনের প্রোমোশনের কাজ করার জন্য অনেক সৃজনশীল ভিডিও বানানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এই কাজ তারা অভিজ্ঞ ভিডিও এডিটরের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে থাকে।
আপনি যদি একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হতে পারেন, তাহলে আপনি পার্ট-টাইম অথবা ফুল টাইম ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি ইউটিউব, ফেসবুক এই ধরনের প্লাটফর্ম গুলোতে আপলোড করা ভিডিওগুলোর ভিউস চেক করলে দেখবেন যে, সেসব ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউস হয়ে থাকে।
এর থেকে বোঝা যায়, লোকদের বিভিন্ন ভিডিও দেখার অনেক আগ্রহ রয়েছে।
আর কোন একটি ভিডিও দেখতে লোকেরা তখনই পছন্দ করবেন, যখন এডিটিং কোয়ালিটি ভালো হবে এবং ভিডিওট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেবে।
এজন্য এখনকার সময়ে দক্ষ ভিডিও এডিটরদের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। ভিডিও এডিটররা ঘরে বসে কম্পিউটার দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা নিয়ে থাকেন।
তাই আপনি ভিডিও এডিট করার কাজ শিখে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম বাড়িতে বসে রোজাগার করতে পারেন।
10. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন
Social Media Marketing হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এর কারণ বর্তমানে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর সাথে সংযুক্ত রয়েছেন এবং তারা প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় ধরে সক্রিয় থাকেন।
আর এই কারণেই বিশ্বের ছোট বড় সকল কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের promotion করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রক্রিয়াকে বেছে নেয়।
তাই আপনি যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনি বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন।
মার্কেটিং এর সাথে জড়িত কাজগুলো করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। যদি আপনি সফলভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন,
তাহলে আপনি প্রতি মাসে শুধু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নয়, এর কত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন তা আপনিও ভাবতেও পারবেন না।
11. ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন
আজকাল সকলেই ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে মোটামুটি পরিচিত।
কেননা অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট গুলোর কথা আসলেই সকলে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর এর কথা ভেবে থাকেন।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে এটি আপনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক প্রক্রিয়া।
আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক তরুন তরুণী ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অনেক ডলার ইনকাম করছেন।
যেকোন বয়সের মানুষ এই কাজ করতে পারবেন। তবে, এজন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত কাজগুলো করতে পারার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আপনার যদি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এবং কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি।
এসব কাজ শিখে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট করতে হবে।
জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো fiverr, upwork, freelancer, people per hour ইত্যাদি।
মনে রাখবেন, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা যেমন অনেক বেশি, তেমনি এই সেক্টরে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। কেননা বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইন ইনকাম করার উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিচ্ছেন।
তবে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।
12. মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে আয়
মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে আয় করাটা যে কারো পক্ষে তেমন সহজ কোন বিষয় নয়।
তবে, যখন আপনি একটি ভালো মোবাইল এপস তৈরি করে সেটা গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করবেন এবং অনেক ইউজার আপনার এপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে, তখন আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এন্ড্রয়েড এপস থেকে মূলত আয় করা যায় Google Admob এর সাহায্যে।
আপনি যখন এপের ভেতর গুগল এডমবের বিজ্ঞাপন place করবেন এবং ইউজাররা যখন সেই বিজ্ঞাপনগুলো দেখবে, তখন আপনার গুগল এডমব একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে।
নিজের একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ বানিয়ে সেখান থেকে আপনি সহজেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অ্যাপে ভালো এবং উপকারী কনটেন্ট থাকতে হবে।
প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়: FAQ’s
ঘরে বসে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় হলো ব্লগিং, কনটেন্ট রাইটিং, ইউটিউব চ্যানেল, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি
আপনি বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক লোকেরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ২০ হাজার বা তারও অধিক টাকা ইনকাম করে থাকেন। আবার অনেকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ/ইনভেস্ট করেও মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন না। তাই প্রথমের দিকে আপনাকে তুলনামূলক কম টাকা বিনিয়োগ করে কাজ শুরু করতে হবে। আর অনেক অনলাইন কাজ রয়েছে, যেগুলোতে কোনো টাকা বিনিয়োগ না করেই কেবল সময়, শ্রম এবং মেধা দিয়ে কাজ করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন দুটি রাস্তাই বেছে নিতে পারেন। তবে, যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করতে হবে না অথবা স্বল্প পরিমাণ ইনভেস্টমেন্টে কাজ শুরু করতে পারবেন। অন্যদিকে, অফলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে হবে। আর এজন্য প্রচুর পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
কম সময়ে বেশি টাকা আয় করার জন্য আপনাকে নানা ধরনের জনপ্রিয় এবং লাভজনক অনলাইন কাজগুলোর মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। যেমন: ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা
২০,০০০ টাকা মাসে আয় করা উপায়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আমি কেবল অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেসব বিষয়ে আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি।
তবে আপনি যদি অফলাইনে অর্থাৎ ফিজিক্যালি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া গুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি বিজনেস শুরু করতে পারেন।
তাহলে বন্ধুরা, যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
খুব সুন্দর আর্টিকেল। আমি এই ব্লগের ফ্যান হয়ে গেলাম এবং আর্টিকেলটি বুকমার্ক এ সেভ করে রাখলাম।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Assalamu alaikum Good Morning.
ভাইয়া আমাকে একটা প্লানের সাইট দিবেন আমি অল্প টাকা ইনকাম করতে পারি অল্প টাকা ইনভেস্ট করে আমি যেন এক দুই হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি
আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। তাছাড়া আমাদের ব্লগের অনলাইন ইনকাম রিলেটেড অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়লে ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন।
ইনকাম করব
কিভাবে এই অ্যাকাউন্ট খুলা যায়