Home » অনলাইন ইনকাম » কোন এপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? ১৩টি রিয়েল ইনকাম অ্যাপস

কোন এপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? ১৩টি রিয়েল ইনকাম অ্যাপস

কোন এপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় – এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

এখনকার দিনে স্মার্টফোন দিয়েই অনলাইনে আয় করা যায়। বর্তমানে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে সহজেই আয় করতে পারেন। আপনি চাইলেই ভিডিও দেখা, সার্ভে পূরণ, গেম খেলা, ফ্রিল্যান্সিং, পণ্য বিক্রি বা ক্যাপচা টাইপিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

তবে এন্ড্রয়েড অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক ও বিশ্বস্ত অ্যাপ বেছে নিতে হবে।

আজকের আর্টিকেলে আমি কিছু রিয়েল অনলাইন আর্নিং অ্যাপস এর বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এসব অ্যাপে সঠিক নিয়মে কাজ করলে আপনি খুব সহজেই দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক – কোন কোন মোবাইল অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়!

কোন এপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?

কোন এপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়

বর্তমানে অনেক এন্ড্রয়েড অ্যাপস অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ দেয়। কিন্তু সব অ্যাপ আসলেই কার্যকর নয়। কিছু অ্যাপ ব্যবহারকারীদের উপার্জিত অর্থ সঠিকভাবে পে করে থাকে। আবার অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ শুরুর পূর্বে ব্যবহারকারীদের বিনিয়োগ করতে বলা হয় বা নানা ধরনের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে, কিন্তু আসলে তারা কোনো অর্থ প্রদান করে না।

এই ধরনের ফেইক অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে নিজেরা অর্থ উপার্জন করে এবং শেষে পেমেন্ট দেয় না। এই ধরনের অ্যাপগুলোর মধ্যে অনেক সময় স্ক্যামিং অ্যাপও থাকে যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

এ কারণে একটি অ্যাপ আসল নাকি ফেইক তা যাচাই করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের রেটিং ও রিভিউ চেক করা, ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট প্রুফ খোঁজা এবং অ্যাপটি কোনো বিনিয়োগ চাচ্ছে কিনা সেটা দেখা – এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিয়েল আর্নিং অ্যাপগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোনো বিনিয়োগ চায় না এবং কাজের বিনিময়ে পেমেন্ট প্রদান করে।

তাই যদি আপনি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় অ্যাপস নির্বাচন করতে হবে এবং ফেইক অ্যাপস থেকে দূরে থাকতে হবে।

এখন আমি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা কিছু অ্যাপস সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দিবো। আপনি নিঃসন্দেহে এইসব অ্যাপসে কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সেরা ১৩টি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার Apps

আর্নিং অ্যাপসের নামঃযা করতে হবেঃ
1. Swagbucksঅনলাইন সার্ভে এবং বিভিন্ন সহজ কাজ করে ইনকাম করা যায়।
2. YouTube Appভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যায়।
3. ySenseজনপ্রিয় মাইক্রো-টাস্কিং মোবাইল অ্যাপ।
4. Fiverrক্লায়েন্টের বিভিন্ন অনলাইন কাজ করে দিতে হবে।
5. Meeshoপ্রোডাক্ট রিসেলিং করে আয় করতে পারবেন।
6. Shutterstockঅনলাইনে ফটো সেল করে আয় করা যায়।
7. Instagramএফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ ইত্যাদি উপায়ে আয় করা যায়।
8. CashBossছোটো ছোটো কাজ করে দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম করা যায়।
9. Freecash Appবিভিন্ন মাইক্রো-টাস্ক সম্পন্ন করে অর্থ উপার্জন।
10. LinkedIn: Mobile Appবিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করা যায়।
11. Blogger.com (App)ব্লগ আর্টিকেল লিখে ইনকাম।
12. Google Payরেফার করে ইনকাম করা যায়।
13. Sweet Bitcoin Appঅনলাইনে গেম খেলে বিটকয়েন আয় করা যায়।

1. Swagbucks

Swagbucks হলো একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড অ্যাপ যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পয়েন্ট উপার্জনের সুযোগ দেয়।

এখানে সার্ভে সম্পন্ন করা, ভিডিও দেখা, অনলাইন শপিং, গেম খেলা এবং বিজ্ঞাপন দেখা ইত্যাদি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। অর্জিত পয়েন্টগুলো গিফট কার্ড বা PayPal ক্যাশে রিডিম করতে পারবেন।

এটি বিশ্বব্যাপী বিশ্বাসযোগ্য একটি অনলাইন আর্নিং প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীদের ঘরে বসে বাড়তি আয় করার সুযোগ প্রদান করে।

বিশেষ করে যারা দক্ষতা ছাড়াই বিভিন্ন ছোটো ছোটো কাজ করে পার্ট-টাইম ইনকামের উপায় খুঁজছেন, তারা নিঃসন্দেহে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

অবশ্যই পড়ুন –

2. YouTube App

YouTube বর্তমানে শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, এটি একটি অসাধারণ ইনকাম সোর্স হিসেবেও কাজ করে।

ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে যে কেউ নিজের চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং মনিটাইজেশন চালু করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব থেকে মূলত বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

ইউটিউব থেকে টাকা রোজগার করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং চ্যানেলে নিয়মিত নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করতে হবে।

আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ হয়ে গেলে ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে অ্যাপ্রুভ করলে ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

3. ySense

ySense হলো একটি বিশ্বস্ত GPT (Get-Paid-To) প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজ কিছু কাজ সম্পন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এই অ্যাপের মাধ্যমে মূলত অনলাইন সার্ভে সম্পন্ন করা, মাইক্রো টাস্ক সম্পন্ন করা, রেফার করা এবং বিভিন্ন অফার কমপ্লিট করে অর্থ উপার্জন করা যায়। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং বা পার্ট-টাইম ইনকামের সহজ উপায় খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি অপশন হতে পারে।

এখানে প্রতিটি সার্ভে আপনি ৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন এবং একেকটি সার্ভে করার বিনিময়ে $0.20 থেকে $2 পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও এই অ্যাপটিতে রেফার করে ইনকামের সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি রেফারের জন্য আপনি $0.10 থেকে $0.30 আয় করতে পারবেন।

ySense থেকে উপার্জিত অর্থ PayPal, Skrill বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

4. Fiverr

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য Fiverr একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অ্যাপ হিসেবে পরিচিত। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী নানা ধরনের অনলাইন কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Fiverr অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গিগ (gig) তৈরি করতে হবে। ফাইভারে জনপ্রিয় কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

গিগ তৈরির সময় অবশ্যই আপনাকে ভালো ডিসক্রিপশন ও উপযুক্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ক্লায়েন্ট আপনার পাবলিশ করা গিগের মাধ্যমে কাজ অর্ডার করতে পারবে।

আপনাকে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে কাজ ডেলিভারি করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভালো রিভিউ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত গিগ প্রমোট করলে এবং ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে ধীরে ধীরে Fiverr থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

রিলেটেড – ফ্রিল্যান্সিং কি এবং নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন

5. Meesho

Meesho হলো একটি জনপ্রিয় রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে এটি আপনার জন্য উপযোগী একটি এপ্লিকেশন।

এই অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় যা আপনি হোলসেল দামে কিনতে পারবেন অথবা সরাসরি শেয়ার করে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যখন কোনো পণ্য শেয়ার করবেন এবং কেউ সেটি কিনে, তখন আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট প্রোমোট করে বিক্রয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন।

Meesho অ্যাপে প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য আপনার নিজের কোনো প্রোডাক্ট থাকতে হবে না। এই এপ্লিকেশনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি বিক্রি করতে পারবেন।

আর প্রতিটি প্রোডাক্টে আপনি নিজের মতো করে দাম সেট করতে পারবেন। কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করলে আসল দাম কোম্পানি কেটে রাখবে এবং অতিরিক্ত টাকা আপনি পেয়ে যাবেন।

উদাহরণ হিসেবে, মনে করুন অ্যাপে একটি টি-শার্টের দাম ৫০০ টাকা। আপনি টি-শার্টটির দাম ৬০০ টাকা সেট করে বিক্রি করলেন। তাহলে কোম্পানি ৫০০ টাকা কেটে নিয়ে অতিরিক্ত ১০০ টাকা আপনাকে দিয়ে দিবে। এভাবে ঘরে বসেই Meesho app থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

অবশ্যই পড়ুন – বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

6. Shutterstock app

Shutterstock একটি জনপ্রিয় স্টক ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ছবি, ভিডিও এবং ইলাস্ট্রেশন বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।

যদি ফটোগ্রাফিতে আপনার ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে Shutterstock Contributor অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার তোলা ফটো বা ছবি আপলোড করতে পারেন।

যখন কেউ আপনার আপলোড করা ছবি বা ভিডিও কিনবে তখন আপনি এখান থেকে কমিশন পাবেন। Shutterstock এ আপনার যেকোনো ছবি প্রতিবার ডাউনলোডের জন্য আপনি ১০% থেকে ৪০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারবেন।

নিয়মিত মানসম্মত ভিডিও বা ছবি আপলোড করলে এখান থেকে ভালো পরিমাণে আয় করা সম্ভব। অ্যাপটি আপনি Google Play Store থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন এবং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ছবি আপলোড করতে পারবেন।

7. Instagram

Instagram বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয়ের একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। আপনি যদি কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফ্লুয়েন্সার, ফটোগ্রাফার বা উদ্যোক্তা হয়ে থালেন তাহলে Instagram থেকে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ। যেখানে আপনার পোস্ট বা স্টোরির মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পণ্য প্রচার করার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ইনস্টাগ্রামে প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার থাকলে স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে আয় করা সম্ভব।

এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করা যায়, যেখানে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে প্রতিটি বিক্রির জন্য কমিশন পেতে পারবেন। যদি আপনার নিজস্ব ব্যবসা থাকে তাহলে Instagram Shop ব্যবহার করে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। অনেকেই ডিজিটাল পণ্য, কোর্স বা সার্ভিস বিক্রির মাধ্যমে Instagram থেকে আয় করছেন।

Instagram থেকে ভালো পরিমাণে আয় করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করতে হবে এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল জানতে হবে।

8. CashBoss

CashBoss একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড-ভিত্তিক এন্ড্রয়েড অ্যাপ, যার মাধ্যমে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন অফার কমপ্লিট, রেফারেল প্রোগ্রাম, অ্যাপ ইনস্টল ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে অ্যাপটি ইউজারদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে।

এখানে বিভিন্ন স্পন্সরড অ্যাপ বা সার্ভিসের অফার থাকে, যেগুলো সম্পন্ন করলে পয়েন্ট বা ক্যাশ রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। এসব পয়েন্ট পরে মোবাইল রিচার্জ, ওয়ালেট বা সরাসরি ক্যাশ হিসেবে তুলে নিতে পারবেন।

CashBoss অ্যাপে টাকা ইনকামের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো অ্যাপ ডাউনলোড ও ট্রায়াল ব্যবহার করা। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু অ্যাপ ব্যবহার করলে বা রেজিস্ট্রেশন করলে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট দেওয়া হবে।

এছাড়াও অ্যাপটির রেফারেল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আরও বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। অন্যদেরকে এই অ্যাপে রেফার করলে আপনি রেফারেল বোনাস পেতে পারবেন। এই অ্যাপের একটি বড় সুবিধা হলো, এটি সরাসরি মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।

সঠিকভাবে ব্যবহার করলে CashBoss app থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

9. Freecash app

Freecash একটি জনপ্রিয় GPT প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সহজ কিছু কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। এই অ্যাপে মূলত অফার কমপ্লিট, সার্ভে পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড, ভিডিও দেখা এবং রেফারেল প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

এখানে প্রতিটি কাজের জন্য আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট বা রিওয়ার্ড অর্জন করতে পারবেন, যেগুলো পরে পেপাল, গিফট কার্ড, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা গেমিং রিওয়ার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন।

Freecash অ্যাপ থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনকামের পদ্ধতি হলো পেইড সার্ভে ও অ্যাপ ডাউনলোড করা। এখানে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্রান্ড ব্যবহারকারীদের মতামত জানার জন্য বিভিন্ন পেইড সার্ভে অফার করে থাকে, যেগুলো সম্পন্ন করে ইনকাম করা যায়।

আপনি যদি অন্যদের এই অ্যাপে রেফার করার মাধ্যমে যুক্ত করতে পারেন, তাহলে প্রতিটি সফল রেফারেলের জন্য আপনি কমিশন পাবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করা একদম সহজ এবং উপার্জিত অর্থ দ্রুত উইথড্র করা যায়। নিয়মিত কাজ করলে Freecash অ্যাপ থেকে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব।

10. LinkedIn: Mobile App

বর্তমানে LinkedIn থেকে একাধিক উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনি একজন দক্ষ পেশাজীবী, ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে LinkedIn Mobile App ব্যবহার করে আপনার ক্যারিয়ার ও ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি করে আয় করতে পারবেন।

LinkedIn-এ ফ্রিল্যান্সিং কাজ খোঁজা, কনসালটেন্সি সার্ভিস প্রদান, স্পন্সরড কনটেন্ট তৈরি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও অনেক কোম্পানি দক্ষ কর্মীদের খুঁজে LinkedIn-এর মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে, যা চাকরির সুযোগ বাড়ায়।

আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হন তাহলে LinkedIn Articles ও Posts এর মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করতে পারেন। এছাড়া LinkedIn এর মাধ্যমে বিভিন্ন Premium Subscriptions ও অনলাইন কোর্স বিক্রির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

সঠিকভাবে LinkedIn প্রোফাইল অপটিমাইজ করে ও নিয়মিত ভালো মানের কনটেন্ট শেয়ার করলে এখান থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়।

11. Blogger.com (App)

Blogger.com হলো Google এর একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ফ্রিতে নিজের ব্লগ তৈরি করে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। Blogger Mobile App ব্যবহার করে সহজেই ব্লগ পোস্ট লেখা, এডিট করা ও পাবলিশ করা সম্ভব।

Blogger থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ ও লাভজনক উপায় হলো গুগল এডসেন্স। এখান থেকে আয় করার জন্য প্রথমে ব্লগারে নিজের একটি ব্লগ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর ব্লগে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।

ধীরে ধীরে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বাড়লে AdSense এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে গেলে ব্লগের আর্টিকেলে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

তাছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরড পোস্ট, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি ও ফ্রিল্যান্স সার্ভিস প্রদান করেও Blogger থেকে ইনকাম করা যায়। Blogger.com ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং SEO ফ্রেন্ডলি। এ কারণে সহজেই ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়া যায়।

নিয়মিত ভালো কনটেন্ট লিখে এবং গুগল এডসেন্স থেকে ভালো আয়ের টেকনিক জানলে Blogger Mobile App এর সাহায্যে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

অবশ্যই পড়ুন – জেনেনিন কিভাবে ব্লগারে ফ্রি তৈরি করে আয় করবেন?

12. Google Pay

গুগল পে অ্যাপের বিষয়ে আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। Google Pay এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করা যায়। তবে এটি ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার সুযোগও রয়েছে।

মূলত ক্যাশব্যাক, রেফারেল বোনাস এবং বিশেষ অফার এর মাধ্যমে Google Pay ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারেন। Google Pay এর রেফারেল প্রোগ্রাম একটি দারুণ ইনকামের উৎস, যেখানে নতুন কোনো ব্যক্তিকে রেফার করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস পাওয়া যায়।

এছাড়া অনেক সময় বিভিন্ন ব্যাংক ও মার্চেন্ট অফার এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলেই ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। প্রতিদিন নতুন নতুন অফার চেক করে, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের রেফার করে এবং নির্দিষ্ট লেনদেনের শর্ত পূরণ করলে Google Pay থেকে আপনি সহজেই ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

13. Sweet Bitcoin App

Sweet Bitcoin হলো একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড-ভিত্তিক অ্যাপ, যেখানে বিনামূল্যে বিটকয়েন (BTC) উপার্জন করা যায়। এই অ্যাপে আপনি ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বিজ্ঞাপন দেখা এবং প্রতিদিনের রিওয়ার্ড সংগ্রহ করার মাধ্যমে বিটকয়েন ইনকাম করতে পারবেন।

Sweet Bitcoin অ্যাপের অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার হলো ডেইলি বোনাস ও রেফারেল প্রোগ্রাম। প্রতিদিন লগইন করলে বা অ্যাপে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করলে রিওয়ার্ড পেতে পারবেন। এছাড়াও বন্ধুদের রেফার করলে বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকে।

এই অ্যাপে উপার্জিত বিটকয়েন সরাসরি ক্রিপ্টো ওয়ালেটে তোলা যায়, যা আপনি চাইলে ট্রেডিং বা বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। যদিও এই ধরনের অ্যাপ থেকে ইনকাম তুলনামূলকভাবে কম হয়, তবে নিয়মিত কাজ করলে মোটামুটি আয় করা সম্ভব।

যারা সহজ উপায়ে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে বিটকয়েন ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য Sweet Bitcoin App একটি ভালো অপশন হতে পারে।

FAQ: রিয়েল টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

১. মোবাইল অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করা কি সত্যিই সম্ভব?

হ্যাঁ, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেমন Shutterstock, Instagram, Freecash, Blogger, LinkedIn, Google Pay ইত্যাদি, যেগুলো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহারকারীদের আয় করার সুযোগ দেয়।

২. কোন অ্যাপ থেকে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন অ্যাপ যেমন Shutterstock, Instagram, LinkedIn, Blogger ইত্যাদি থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে টাকা আয় করা যায়।

৩. রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোন অ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায়?

Google Pay, Freecash, CashBoss, Sweet Bitcoin ইত্যাদির মতো অ্যাপসগুলোতে রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

৪. ইনকাম অ্যাপসগুলো থেকে ইনকাম করা টাকা কীভাবে উত্তোলন করা যায়?

বেশিরভাগ অ্যাপে PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল রিচার্জ, ক্রিপ্টো ওয়ালেট, গিফট কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ উত্তোলনের সুবিধা থাকে।

৫. এন্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে কোনো বিনিয়োগ দরকার হয় কি?

অনেক অ্যাপ থেকে কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই ইনকাম করা সম্ভব। তবে কিছু আর্নিং প্ল্যাটফর্মে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন বা কনটেন্ট তৈরি করতে সামান্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।

৭. মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কী ফুল-টাইম ইনকাম করা সম্ভব?

হ্যাঁ, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন এ দক্ষ হন, তাহলে মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে ফুল-টাইম ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

তাহলে বন্ধুরা, কোন অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটিতে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকামের সেরা অ্যপসগুলোর তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনি নিঃসন্দেহে অনলাইনে ইনকামের জন্য এই অ্যপাসগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তবে আপনি যদি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস খুঁজছেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে আর্নিং অ্যাপ নির্বাচন করতে হবে। কেননা বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন ইনকাম অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর বেশিরভাগই ফেইক। তবে আজকের আর্টিকেলে আমি রিয়েল ইনকাম এপসগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এসব অ্যপসের সাহায্যে আপনি সহজেই প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে ভালো পরিমণে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লং-টার্ম ইনকামের উপায়গুলোর ওপর ফোকাস করতে হবে। যেমন – ব্লগারে নিজের ব্লগ তৈরি করে ট্রাফিক বাড়িয়ে গুগল এডসেন্স এর সাহায্যে উপার্জন, সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার্স বাড়িয়ে বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয়, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় ইত্যাদি।

এসব উপায়ে হাজার হাজার লোকেরা আয় করছেন। আপনিও সহজেই এই উপায়গুলোর মাধ্যমে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুন –

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *