টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৫ মোবাইল দিয়ে – ১০০% ট্রাস্টেড
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৫: আমাদের অনেকের হাতেই এখন একটি এন্ড্রয়েড ফোন আছে। আপনারা অনেকেই আমার এই লেখাটা যে পড়ছেন তারা হয়তো এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে ওয়েবসাইটের এই লেখাটি পড়ছেন।
এই যে আপনি যে এত দামী অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনেছেন যা দিয়ে আপনি ফেসবুক চালানো অথবা বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে ব্রাউজ করেন অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। এগুলো করা ছাড়াও আপনি যে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তা কি আপনি জানেন?
এমনিতে ঘরে বসে ফ্রি টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কোনো ধরনের ডিপোজিট না করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আজকের আর্টিকেলে আমি সেরা কিছু টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো। এসব অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাহলে চলুন শুরু করি।
টাকা আয় করার apps

আজকে আমাদের এই লেখার মাধ্যমে আপনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করতে পারেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। আপনার এন্ড্রয়েড ফোন পরিণত হতে পারে টাকা আয় করার অ্যাপ এ।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ, টাকা আয় করার অ্যাপ গুলো এন্ড্রয়েড ফোনে কিভাবে ব্যবহার করবেন ,কোন কোন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, টাকা আয় করার apps কিভাবে তৈরি করবেন, এ সম্পর্কে আজকে আমাদের লেখায় বিস্তারিত আলোচনা থাকবে ইনশা আল্লাহ।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে কিছু কথা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আমরা বেশিরভাগ সময়ে বিভিন্ন রকম অ্যাপ চালিয়ে কাটায়। যেমন ধরুন ইউটিউব, ফেসবুক বা গুগল ক্রোম যেখানে আপনারা ব্রাউজিং করেন এগুলো সবই এক একটি অ্যাপ।
এখন এরকম একটি অ্যাপ অথবা এরকম কয়েকটি অ্যাপ ইন্সটল করে আপনি কিছু এক্টিভিটিস করে এসব অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যদি এসব অ্যাপ থেকে চিন্তা করেন যে মাসে মাসে এত টাকা ইনকাম করবেন যে আপনার পুরো মাসের খরচ নির্বাহ হয়ে যাবে তবে তা ভুল।
কারণ এগুলো অ্যাপ থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকাই শুধু পেতে পারবেন যা দিয়ে হয়তো আপনি আপনার হাত খরচ এর টাকা আসবে। কাজেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস থেকে যদি আপনি মাসে জীবিকা নির্বাহের চিন্তা করেন তবে ভুল করবেন।
তবে হ্যাঁ, এই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার জীবনে আসতে পারে সচ্ছলতা। চলুন এখন সরাসরি জেনে আসা যাক সেইসব টাকা আয় করার অ্যাপ / টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে যেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Google Opinion Rewards| টাকা আয় করার apps
এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে আয় করার যত অ্যাপ আছে তার মধ্যে এই অ্যাপটি অর্থাৎ গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডস কে আমি সর্বোত্তম বলব।
এর মূল কারণ আপনি যদি দেখেন যে হচ্ছে এটি হচ্ছে গুগলের একটি অ্যাপ এবং এটি খুবই নির্ভরযোগ্য একটি অ্যাপ।
এই অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি যেভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনি বিভিন্ন রকম অ্যাপ সম্পর্কে এখানে আপনার রিভিউ প্রদান করে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট অ্যাপটি ব্যবহার করে কোন দিকটা আপনার ভালো লেগেছে অ্যাপের কোন দিকটি উন্নত হতে পারে এবং অ্যাপ এর কোন দিকে কমতি আছে এরকম মতামত দিতে পারেন অ্যাপে।
এরকম বিভিন্ন অ্যাপ সম্পর্কে লেখা-লেখি করে আপনি এই গুগল অপিনিয়ন রেওয়ার্ডস থেকে পয়েন্ট পেতে পারেন যা থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
Swagbucks:
এই অ্যাপটি ও আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে ইন্সটল করে এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে বিভিন্ন রকম সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে হবে, ভিডিও দেখতে হবে, গেম খেলতে হবে।
অর্থাৎ এই অ্যাপের মাধ্যমে গেম খেললে আপনার জন্য গেমগুলো টাকা ইনকাম করার গেমে পরিণত হতে পারে। গুগল অপিনিয়ন রেওয়ার্ডস এরপর টাকা ইনকাম করার জন্য এটি আরও একটি দুর্দান্ত অ্যাপস।
অবশ্যই পড়ুন –
- ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটগুলো
- এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১৭টি ওয়েবসাইট/অ্যাপস
- অনলাইনে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
Make Money Online:
অনলাইনে যতগুলো টাকা ইনকাম করার অ্যাপস আছে সবগুলো অ্যাপসের মধ্যে এই অ্যাপস এর রিভিউ রেটিং গুগল প্লে স্টোরে সবচাইতে বেশি। এর রেটিং বর্তমানে এন্ড্রয়েড ৪.৮!!
এই অ্যাপস এর রেটিং এত বেশি হবার কারণ হচ্ছে এটি খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি একটি অ্যাপ। এই অ্যাপ এ আপনি বিভিন্ন রকম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে, বিভিন্ন পণ্য অন্য জনকে রেফার লিংক করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই।
তবে একটা জিনিস এই অ্যাপ এর বৈশিষ্ট্য সেটা হচ্ছে এই অ্যাপে শুধু আপনি পেপালের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। অর্থাৎ এই অ্যাপস এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার অবশ্যই পেপাল একাউন্ট থাকতে হবে।
ShopUp Resell:
বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম 2020 সাল থেকে এই ShopUp Resell জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এই অ্যাপটির আপনি একটি টাকাও ইনভেস্ট না করে এখান থেকে আয় করতে পারেন। এখানে মূলত আপনার ব্যবহার করা জিনিসগুলো আপনি রিসেল করতে পারেন বা অন্য জায়গা থেকে জিনিস কিনে রিসেল করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এই অ্যাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ অন্যান্য এগুলোতে আপনার যেরকম ক্রেডিট কার্ড বা পেপাল একাউন্ট লাগবে এই অ্যাপে আপনার এসব কোন একাউন্টে লাগবেনা এবং আপনি পেমেন্ট বিকাশে রিসিভ করতে পারবেন।
ফুডপান্ডা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এ রেষ্টুরান্ট খুলে আয়ঃ
ফুডপান্ডা বাংলাদেশ অ্যাপটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেকের মোবাইলে জায়গা করে নিয়েছে। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার কিনতে পারেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি নিজেও এখানে রেজিস্ট্রেশন করে খাবার বিক্রি করতে পারেন! হ্যাঁ ফুডপান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে খাবার বিক্রি করতে পারেন খুব সহজেই এবং এখান থেকে আপনি আয় করতে পারেন অনেক টাকা।
উবার অ্যাপ এর মাধ্যমে আয়ঃ
বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত একটি অ্যাপস এর নাম উবার। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আপনি গাড়িতে করে বা হুন্ডা তে করে যেতে পারবেন।
পাশাপাশি উবার এখন উবার ইটস নামে তাদের একটি সার্ভিস চালু করেছে। আপনি উবার থেকে যে ভাবে আয় করতে পারবেন তাহল আপনি নিজের একটি গাড়ি বা হুন্ডা উবার অ্যাপস এ দিয়ে দিতে পারেন।
এখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন আবার আপনি নিজেও গাড়িচালক বা হোন্ডা চালক হয়ে উবার থেকে ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি উবার ইটস এ আপনি রেস্টুরেন্ট এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ইনকাম করতে পারেন।
বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য উবার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মোবাইল অ্যাপ।
পাঠাও এপস এর মাধ্যমে আয় / টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বাংলাদেশ
যারা টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বাংলাদেশ অনুসন্ধার করতেছেন, তারা বাংলাদেশি টাকা আয় করার Apps পাঠাওয়ে কাজ করতে পারেন। পাঠাও এপস এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। আপনি এখানে আপনার হুন্ডা বা গাড়ি ভাড়া দিতে পারেন বা আপনি নিজেই হুন্ডা বা গাড়ি চালক হয়ে এই পাঠাও এপস থেকে আয় করতে পারেন।
রিলেটেড আর্টিকেল – টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার সেরা ১২টি উপায়
বিকাশ, নগদ অ্যাপের মাধ্যমে আয়ঃ
বাংলাদেশের বিকাশ, নগদ, রকেট এর মত অনেক অ্যাপ গড়ে উঠেছে যেখানে মোবাইল এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশের মোবাইল রিচার্জের দোকান গুলো এখন অনেক ভাল ব্যবসা করছে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
এসব অ্যাপের মাধ্যমে এগুলো মূলত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এজেন্টের মাধ্যমে অথবা পার্সোনাল একাউন্ট খুলে টাকা পাঠাতে পারবেন। আপনি বিকাশ এজেন্ট হয়ে যেতে পারেন যেখান থেকে আপনি আয় করতে পারেন খুব সহজেই।
বিকাশ এজেন্ট হবার উপায়ঃ
বিকাশ এজেন্ট হবার জন্য আপনার যেসব কাগজপত্র লাগবে তা হল আপনার ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড, বার্থ সার্টিফিকেট ইত্যাদি কপি লাগবে তারপর আপনাকে বিকাশ এজেন্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
তারপর বিকাশ এজেন্ট হবার পর বিকাশ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বিকাশের পাশাপাশি আপনি নগদ, রকেট এরও এজেন্ট হতে পারবেন।
বিকাশ বা রকেট বা নগদ এ তিনটিরকাজ মূলত একই। আর তা হলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টাকা পাঠানো।
তবে বাংলাদেশের বিকাশ এ তিনটের মধ্যে সর্বপ্রথম এই ধারণা নিয়ে এসেছে বলে বাংলাদেশ এটি সবচাইতে বহুল প্রচলিত। বিকাশের এরকম দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে বিকাশ অ্যাপ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করার উপায়ঃ
এতক্ষণে আমরা জানলাম যে আপনি কি করে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা এখন এ সম্পর্কিত একটি টপিক আলোচনা করব যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক আর তা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করার উপায়।
ধারণাঃ
ঢাকা শহরের মানুষের আগে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবার জন্য ট্যাক্সি পাওয়া বা সিএনজি পাওয়া খুবই কষ্টকর ছিল। যদিও বা কালেভদ্রে ট্যাক্সি বা সিএনজি পাওয়া যেত তবে ভাড়া থাকত খুবই বেশি যা সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহার করা খুবই কষ্টকর ছিল।
কিন্তু যখন উবার তার গাড়ি এবং পাঠাও তার হুন্ডা নিয়ে আসলো সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য এবং সাধারন মানুষ শুধু একটি অ্যাপের মাধ্যমে এসব হোন্ডা এবং গাড়ি ব্যবহার করতে পারল তখন এসব বাংলাদেশ রাতারাতি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠলো।
এই অ্যাপগুলো বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়ার পাশাপাশি আয় করে নিয়ে যেতে লাগল অনেক টাকা। অর্থাৎ কোন অ্যাপ তৈরি করার সময় আপনার সর্বপ্রথম যে জিনিসটা দরকার আমি মনে করি আর তা হলো ধারণা।
আপনাকে অ্যাপ এর জন্য ইউনিক ধারণা ভাবতে হবে যা সাধারণ মানুষের উপকার করার পাশাপাশি মানুষের খুবই প্রয়োজনীয়।
কর্মপরিকল্পনাঃ
অ্যাপ তৈরি করার ধারণা করার পর আপনি অ্যাপটি কিভাবে কাজ করবে, অ্যাপ তৈরিতে কত টাকা লাগবে, অ্যাপটি মানুষের উপকারে কিভাবে লাগবে এসব নিয়ে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করবেন। যেমন ধরুন কেউ সহজে রাস্তা চেনার জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করল।
এখন তার সেই অ্যাপ তৈরি করার পর এর মূল ব্যবহারকারী কারা হবে, অ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ কি কি এবং কিভাবে অ্যাপ এর জন্য বাজার দখল করতে হবে এসব পরিকল্পনা তার করতে হবে।
এই কর্মপরিকল্পনা আপনার অ্যাপসের রিচ এবং অ্যাপসের জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করবেন তা করতে খুবই কাজে লাগবে। সুতরাং কোন অ্যাপ তৈরি করতে হলে কর্মপরিকল্পনা খুবই গুরুত্ব একটি বিষয়।
অর্থ সংগ্রহঃ
এপ্সটি সম্পর্কে ধারণা এবং বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করার পর এখন আপনার লক্ষ্য হবে কি করে আপনি অ্যাপটি তৈরি করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করবেন। কারণ একটি অ্যাপ তৈরি করতে কিন্তু অনেক টাকা লাগে।
আপনার কাছে যদি অর্থ থাকে তাহলে খুবই ভালো কিন্তু আপনার কাছে যদি অর্থ না থাকে তবে আপনি বিভিন্ন ভেঞ্চার ইনভেস্টার দের সাহায্য নিতে পারেন যারা এরকম প্রজেক্টে অর্থ দিয়ে থাকেন কিছু শেয়ার নিয়ে থাকার বিনিময়।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নঃ
এটা আপনার অ্যাপ তৈরি করার শেষ ধাপ। এখানে আপনি অ্যাপ নিয়ে যেগুলো পরিকল্পনা করেছেন যেমন অ্যাপ টার্গেটেড অডিয়েন্স কারা, অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদির পর আপনি অ্যাপটি অ্যাপটি জনসাধারণের জন্য অ্যান্ড্রয়েড গুগল প্লেতে উন্মুক্ত করে দিবেন।
অ্যাপস (Apps) থেকে যেভাবে টাকা আসেঃ
অ্যাপ থেকে কোন কোন উপায়ে টাকা আসে সে সম্পর্কে আমি একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আপনি এপস থেকে এড এর মাধ্যমে টাকা পেতে পারেন। অর্থাৎ আপনার অ্যাপটি যখন অনেক ব্যবহারকারীর মোবাইলে থাকবে তখন এইসব ব্যবহারকারীদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের জিনিসপত্র কেনার জন্য আপনার অ্যাপ এ বিজ্ঞাপন দিবে এবং আপনি এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পাশাপাশি আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন তাহলো পেইড অ্যাপ লঞ্চ করা। অর্থাৎ এই ধরনের অ্যাপ এর বৈশিষ্ট হচ্ছে কেউ যদি এই অ্যাপ গুলো নিতে চায় তবে তাকে কিছু পরিমাণ অর্থ দিয়ে এপস টি কিনতে হবে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি আপনি নিতে পারেন। এই সাবস্ক্রিপশন ফি এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। এই সাবস্ক্রিপশন ফি এর নিয়ম হচ্ছে যে অ্যাপ এর বিভিন্ন ফাংশন চালানোর জন্য ব্যবহারকারীরা আপনাকে কিছু পরিমাণ অর্থ দিবে।
পাশাপাশি আপনি অ্যাপ থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করতে পারেন। ডোনেশনের বিষয়টি হলো আপনি কাউকে টাকা দেবার জন্য জোর করবেন না অর্থাৎ অ্যাপটি সবার জন্য ফ্রি থাকবে কিন্তু এ অ্যাপ এ যদি তারা আরও বেশি কার্যকরী দেখতে চাই তবে তাদের মধ্য থেকে যারা সামর্থ্যবান তাদেরকে আপনি এই অ্যাপ স্বেচ্ছায় ডোনেশন দেওয়ার জন্য আহবান করবেন। অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এই মাধ্যমে আয় করে থাকে।
টাকা আয় করার apps নিয়ে শেষ কথা
আজকে আমরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানলাম। “টাকা আয় করার apps এর বিষয়ে আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। আর টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে প্রশ্ন থেকে থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।
রিলেটেড আর্টিকেল –